মামলাটিতে বৃহস্পতিবার তার জামিন আবেদন নাকচ করেন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।
সাবেক কাস্টমস কমিশনার (ভ্যাট) এম হাফিজুর রহমানের দায়ের করা মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হেলাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন।
বাদীর আইনজীবী বাবুল বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাফিজুরের সঙ্গে সুস্মিতা গোলাম নামে এক নারীর আপত্তিকর ছবি জুড়ে দিয়ে তা প্রকাশের হুমকি দিয়ে দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন হেলাল।
ওই পরিমাণ অর্থ না দিলে ছবিগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশের হুমকি হেলাল দিয়েছিলেন বলে হাফিজুরের অভিযোগ।
এরপর ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ভাটারা থানায় হেলাল ও সুস্মিতা গোলামকে আসামি করে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন হাফিজুর।
তা নিয়ে বাদীর আপত্তিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের(পিবিআই) এর তদন্তের ভার পায়।
গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পিবিআই পর্নোগ্রাফি আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মোট দুটি অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়।
জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি তাপস পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসামি হেলাল তথ্য গোপন করে হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে হাই কোর্ট জামিন বাতিল করে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।”
“হাই কোর্টে তিনি প্রতারণা করে জামিন নেওয়ায় বিচারক ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ কারণে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন,” বলেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি।
আদালতে হেলালের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন নজিবুল্লাহ হিরু।
এ মামলার অন্য আসামি সুস্মিতা হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন।