বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলনে ইসমত আরা নামে ওই নারী বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তার ছেলে তৌফিকুল ইসলাম তানভীরকে হত্যা করা হয়। তিনি মামলা করলেও আসামিদের ধরছে না পুলিশ।
তানভীর উত্তরার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। থাকতেন টঙ্গীর গোপালপুরে।
ইসমত আরা বলেন, ফুফাতো ভাই আয়নাল ও বন্ধু রিয়াদ সেদিন মোবাইলে ফোন করে তানভীরকে ডেকে নিয়েছিল।
তানভীর যাওয়ার সময় স্ত্রী রাবেয়া আক্তার পিংকিকে বলে যান যে তিনি আয়নালদের বাসায় যাচ্ছেন। পরদিন তানভীরের সঙ্গে স্ত্রীর কথা হয়েছিল।
কিন্তু দুপুর থেকে তানভীরের নম্বর বন্ধ পাওয়ার পর তার বাবা তাজুল ইসলাম আয়নালকে ফোন দিয়েছিলেন বলে জানান ইসমত আরা।
“সে বলেছিল, ‘তানভীর আছে, হয়ত মোবাইলের চার্জ শেষে হয়ে গেছে, তাই আপনারা তাকে পাচ্ছেন না’।”
পরদিন আয়নালের বড় ভাই আরিফ খানকে ফোন করা হলে তানভীর তাদের বাসায় আছে বলে জানানো হয় তার পরিবারকে।
“বিকালে আয়নালের আরেক ভাই জয়নাল ফোন করে জানায়, তানভীরের লাশ মাজুখান এলাকার রেললাইনের পাশের ডোবায় পড়ে রয়েছে,” বলেন ইসমত আরা।
এঘটনায় জয়দেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় আয়নাল খান, আরিফ খান, জয়নাল খান, রিয়াদ, জনি ও তাদের পাশের বাড়ির কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
ইসমত আরা বলেন, মামলার পর পুলিশ আরিফ, রিয়াদ, আয়নাল, শফিক, রাজিয়া ও রুকিয়াকে গ্রেপ্তার করলেও দুই নারী ছাড়া বাকি সবাই জামিনে বেরিয়ে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ প্রধানের সাহায্য কামনা করেন এই নারী।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে গাজীপুরের গোয়ন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আমির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে, এ কথাটি সত্য নয়। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।”