বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলন করে সাবেক স্বামীর নানা অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন মুনিরা। এসময় সঙ্গে ছিলেন তার মা ও ভাই।
লিখিত বক্তব্যে মুনিরা জানান, ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গুলশানের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাকির হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়।
এর কয়েক মাস পরে ২০ ভরি সোনা, দামী আসবাবপত্র দিয়ে তাকে তুলে দেয় পরিবার।
কিন্তু বিয়ের ৩/৪ মাস যেতেই স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা শুরু করেন বলে তার অভিযোগ।
কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “সামান্য কিছুই হলেও মারধর করত।”
এর মধ্যে মুনিরা গর্ভধারণ করার পর একদিন স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন মারধর করে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
কয়েকদিন পর অভিভাবকরা বুঝিয়ে তাকে আবার শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
কিন্তু তারপরও স্বামী জাকিরের অত্যাচার বন্ধ হয়নি। এমনকি ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর একমাত্র মেয়ে লামিয়ার জন্মের পরও চলতে থাকে নির্যাতন, জানান মুনিরা।
“যেসব অত্যাচার করা হয়েছে সেসব কথা না হয় এখন নাইবা বললাম।”
অশান্তি প্রকট আকার ধারণ করায় গত বছর ১৩ এপ্রিল তাদের বিচ্ছেদ হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “তারপরও আমরা শান্তি পাচ্ছি না।
জাকির ও তার পরিবার আমার মা-বাবা, ভাই ও বড় বোনের শ্বশুর ও ভাসুরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৫টি মিথ্যা মামলা করেছে।”
বিবাহ বিচ্ছেদের পরও কেন জাকিরের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে মুনিরা বলেন, “আমার মেয়েটিকে নেওয়ার জন্যই জাকির এ ধরনের মিথ্যা মামলা করছে।”
সন্তানের বিষয়ে পারিবারিক আদালতে একটি মামলা চলছে বলে তিনি জানান।
সাবেক স্বামীর মিথ্যা মামলা থেকে নিজে এবং পরিবারকে বাঁচাতে সরকারের সহযোগিতা চান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।