ওই হামলার নিন্দা জানিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান বলেন, “যারা মামলা করেছে, তারাই ইট পাথর ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের উপর ন্যক্কারজনকভাবে হামলা করেছে। বলতে চাই, প্রথমত এই মামলাটিই বাংলাদেশের জন্য খুব কলঙ্কজনক।
“একটা প্রতিবাদী মিছিলের স্লোগান নিয়ে এ রকম মামলার নজির স্বাধীন বাংলাদেশের কোনো সরকারের আমলে, এমনকি সামরিক শাসনামলেও নেই। বর্তমান সরকার ও তাদের ছাত্র সংগঠন এই কলঙ্কিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।"
বিক্ষোভ-মিছিলে স্লোগানের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মানহানির অভিযোগ তুলে এক ছাত্রলীগ নেতার দায়ের করা মামলায় রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে হাজির হন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান। জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসার পথে দুপুর ১২টার দিকে আদালতপাড়ায় ডিম নিক্ষেপের মুখে পড়েন তিনি।
এর সমালোচনা করে ইমরান বলেন, “শ্লোগানের মাধ্যমে নয়, বরং এই মামলা ও হামলার মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর অবমাননা করা হয়েছে। এই মামলা ও হামলার মাধ্যমে সারা বিশ্বের কাছে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, বর্তমান সরকার কোনো ধরনের প্রতিবাদ হতে দিচ্ছে না।”
আদালতের উদ্দেশ্যে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, “মাননীয় আদালতের সমনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা আদালতে গিয়েছি, যদি না যেতাম তাহলে আদালতের অবমাননা হত। কিন্তু আদালত প্রাঙ্গণের ভেতরে যে হামলা করা হল, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হল, এ দায় কার? এ দায় অবশ্যই সরকার ও আদালতকে নিতে হবে।”
এ বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি বলেন, “যেন সাধারণ মানুষ আদালতকে নিরাপদ জায়গা বলে ভাবতে পারে।”
উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন বলেন, “হয়রানিমূলক এই মামলা এবং আজকের ন্যক্কারজনক হামলার মধ্য দিয়ে সরকারের স্বৈরাচারি মনোভাবটিই ফুটে উঠেছে।”
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি নাসিরুদ্দিন প্রিন্স বলেন, “হামলাকারী সন্ত্রাসীদের আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে প্রমাণ করতে হবে, এই হামলার পেছনে তাদের ইন্ধন-আশকারা নেই।"
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জি এম জিলানী শুভ বলেন, এই হামলার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ প্রমাণ করেছে আদালতের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধা নেই।