ছাত্রলীগ নেতার করা মানহানির এক মামলায় জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসার পথে রোববার দুপুর ১২টার দিকে পুরান ঢাকার আদালত পাড়ায় ডিম নিক্ষেপের মুখে পড়েন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র।
তার আগে সকাল ১০টার দিকে আদালত পাড়ার কয়েকশ’ গজের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি কাজের দরপত্র নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি বাঁধে। তার রেশ ধরে দুপুর ২টার দিকে ফের ঘটে সংঘর্ষ।
সকালে ছাত্রলীগের বিগত কমিটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে এক পক্ষ দরপত্র জমা দিতে গিয়ে উঠতি নেতাদের বাধার মুখে পড়েছিলেন।
আগুন রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইমরান এইচ সরকার আজকে আদালতে এসেছিল, আমরা সবাই মিলে তাকে ডিম মারতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরে ক্যাম্পাসে এলে শরিফ-সিরাজ অনুসারীদের নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে।”
দুপুর ২টার সংঘর্ষে শান্ত নামে একজন ছুরিকাহত হন। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একটি পক্ষের (ময়মনসিংহ গ্রুপ) নেতা আগুনের দাবি, সকালে তারা ক্যাম্পাসে না থাকলেও তখনকার ঘটনার জন্য দায়ী করে তাদের উপর হামলা চালান শরিফ-সিরাজের অনুসারীরা।
আক্রান্ত হওয়ার পর এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে ইমরান লিখেছেন, “এই চোর-ডাকাতরা ক্ষমতায় থাকবে, লুটপাট করবে, ধর্ষণ করবে, খুন করবে, কিন্তু কিছুই বলা যাবে না। প্রতিবাদ করলে মামলা করবে, আদালতে গেলে সন্ত্রাসী হামলা করবে। খুন-ধর্ষণ-হত্যা, হামলা-মামলা সবখানেই এখন স্লোগান ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু'।
“ছি! আমরা কি এই দেশ চেয়েছিলাম?”