দুই দিনের হেফাজত শেষে রোববার সুমনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের পরিদর্শক মো. নাজমুল নিশাত।
আবেদন শুনে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার দুই দিনের হেফাজতের আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৩ জুলাই আসামি সুমনকে দুই দিনের হেফাজেত পাঠায় আদালত।
গত ১১ জুলাই রাতে রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আরমান হোসেন সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক তরুণী।
৩৮ বছর বয়সী সৎবাবার বিরুদ্ধে ২০ বছর বয়সী ওই তরুণীর অভিযোগ, তাকে গত আট বছর ধরে ধর্ষণ করা হচ্ছিল।
মঙ্গলবার রাতে রমনা থানায় মামলার পর পুলিশ বুধবার সুমনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আরমান একটি বেসরকারি টেলিভিশনের শব্দ প্রকৌশলী বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
ওই তরুণী মামলায় অভিযোগ করেছেন, সৎ বাবা সুমনের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে তিনি একবার অন্ত:স্বত্বা হয়ে পড়েছিলেন। পরে একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটানো হয়।
এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, এই তরুণীর বাবার সঙ্গে তার মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর ২০০৫ সালে সুমনের সথে তার মায়ের বিয়ে হয়। এর এক বছর পর এই সুমনের বাসায় থাকা শুরু করেন মামলার বাদী।
বাদীর অভিযোগ, ২০০৮ সালে যখন তার বয়স ১২ বছর তখন মোহাম্মদপুরের ভাড়া বাসায় তার মায়ের অনুপস্থিতিতে সুমন তাকে ধর্ষণ করে ছবি তুলে রাখে। পরে এই ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে বহুবার তাকে ধর্ষণ করা হয়।
অতিষ্ঠ হয়ে গত বছর বাসা ছেড়ে খালার বাসায় উঠেছিলেন বলে জানান ওই তরুণী। এরপর ওই তরুণীর বন্ধুর কাছে সুমন ওই সব ভিডিও পাঠান বলে মামলায় বলা হয়।