সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ঢাকা-কলম্বোর যৌথ উদ্যোগ চান হামিদ

তথ্য-প্রযুক্তি, পর্যটন, মৎস্য সম্পদ আহরণ, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্ভাবনা যৌথ উদ্যোগে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বঙ্গভবন প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2017, 02:24 PM
Updated : 14 July 2017, 03:33 PM

শুক্রবার বঙ্গভবনে সফররত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

সন্ধ্যা ৭টায় সিরিসেনা বঙ্গভবনে পৌঁছালে আবদুল হামিদ তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।পরে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বৈঠকে বসেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।

সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, “সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং এই সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের এই সফর মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

“রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কা সার্ক-বিমসটেকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থায় একে অপরকে সমর্থন করে যাচ্ছে।”

সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি হামিদ দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, এই দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে এসব সম্ভাবনা কাজে লাগালে উভয় দেশই উপকৃত হবে।

বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উদার দেশ হিসেবে উল্লেখ করে শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগকারীদের এই সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান হামিদ।

সিরামিক পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, কৃষিপণ্য, জুতা ও ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ থেকে নিতে পারে বলে জানান তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, “রাষ্ট্রপতি বলেছেন, দুই দেশ তথ্য-প্রযুক্তি, পর্যটন, মৎস্য সম্পদ, কৃষি, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন খাতে বাণিজ্য-বিনিয়োগের সম্ভাবনা যৌথভাবে খুঁজতে পারে।”

শ্রীলঙ্কার জাতিগত পুনর্গঠন দেশটির উন্নয়ন আরও তরান্বিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আবদুল হামিদ।

সাক্ষাতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন বলে জানান জয়নাল আবেদীন।

সিরিসেনা বলেছেন, তার দেশ সব সময় বাংলাদশকে পরীক্ষিত বন্ধু মনে করে।

বাংলাদেশে উন্নয়ন-অগ্রগতির যে ধারা, সেটা ভবিষ্যতে আরও গতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট।

সাক্ষাতের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।