পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে বেশ কয়েকবার অভিযোগ দেওয়া হলেও তাকে খুঁজতে ‘দৃশ্যমান’ কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ এ ঘটনায় ‘অবহেলা’ করছেন অভিযোগ করে বুধবার ক্যাম্পাসে এক মানববন্ধন শেষে সমাবেশে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মিলনকে উদ্ধারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশকে ৭২ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
এদিন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ফটকের সামনে থেকে মিলনকে উদ্ধারের দাবি জানিয়ে লেখা ব্যানার, প্লাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে র্যালি শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান ঘুরে শহীদ মিনারের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এক হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেন।
কর্মসূচিতে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দশম ব্যাচের ছাত্র রাসেদ বলেন, “মিলন নিখোঁজ হওয়ার পর জবি প্রক্টর জানিয়েছিলেন- মিলন ডিবি পুলিশ হেফাজতে আছে। তাই আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নিশ্চিন্তে ছিলাম।
“কিন্তু এখন প্রক্টর বলছেন তথ্যটা ভুল ছিল। মিলন কোথায় এটা তিনি জানেন না। তাহলে প্রক্টর কেন তখন ভুল তথ্য দিয়ে মিথ্যে সান্তনা দিয়েছিলেন আমাদের?”
প্রক্টরের ‘অবহেলার’ কারণেই এতদিন মিলনের খোঁজ মেলেনি বলেও অভিযোগ করেন রাসেদ।
জবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, প্রক্টর এই বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছেন। তিনি ইচ্ছা করলেই পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
“স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন নিখোঁজ মিলনের সন্ধানের জন্য। কিন্তু তিনি দায়িত্বে অবহেলা করছেন।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জবির প্রক্টর নূর মোহাম্মাদ বলেন, “আমরা এ বিষয়ে যথেষ্ট তৎপরতা চালাচ্ছি। ইতোমধ্যে ডিএমপি কমিশনার বরাবর একটি লিখিত চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
“ছাত্র-ছাত্রীদের মানববন্ধনকেও আমরা যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আমাদের প্রশাসনের তরফ থেকে চেষ্টার কোন ঘাটতি নেই।”
গত ২৩ মে ভোরে রাজধানীর আদাবর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে কয়েকজন মিলনকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন মিলনের পরিবারের সদস্যরা আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।