জেএমবি নেতা সোহেল গুলশান হামলার মামলায় রিমান্ডে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার নব্য জেএমবির অন্যতম শীর্ষনেতা সোহেল মাহফুজকে গুলশান হামলার মামলায় সাত দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 July 2017, 10:42 AM
Updated : 9 July 2017, 04:15 PM

একদিন আগে গ্রেপ্তার সোহেলকে রোববার ঢাকার আদালতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন হেফাজতের আবেদন করেন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।

শুনানিতে পরিদর্শক কবির বলেন, “সোহেল মাহফুজের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তা জানার জন্য তাকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।”

আবেদনের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, “হলি আর্টিজান হামলায় কারা কারা জড়িত, তা আসামিকে রিমান্ডে নিলে পাওয়া যাবে।”

সোহেলের পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি। গোলাপি রঙের টি শার্ট ও লুঙ্গি পরা সোহেল এজলাসে কোনো কথাও বলেননি।

শুনানি শেষে মহানগর হাকিম কে এইচ এম তোয়াহা আসামির সাত দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

সোহেল গত বছরের গুলশান হামলার গ্রেনেড সরবরাহকারী বলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা দাবি করে আসছেন, যে হামলায় ১৭ জন বিদেশিসহ ২২ জন নিহত হন।

হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলাটির তদন্ত সোহেলসহ কয়েকজন জঙ্গি গ্রেপ্তার না হওয়ায় আটকে আছে বলে ক’দিন আগেই তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সাদিপুর কাবলিপাড়ার রেজাউল করিমের ছেলে সোহেল জেএমবির প্রতিষ্ঠাকালীন শূরা সদস্য বলে গোয়েন্দাদের দাবি।

তারা বলছেন, সোহেল নসরুল্লাহ, শাহাদাত, রিমনসহ নানা নামে পরিচিত। এক হাত না থাকায় তিনি ‘হাতকাটা সোহেল’ নামেও পরিচিত।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ২০০৫ সালে নওগাঁর আত্রাই এলাকায় বাংলাভাইয়ের সঙ্গে বোমা বানাতে গিয়ে সোহেলের একহাত উড়ে গিয়েছিল।

দুই বছর আগে সোহেল নব্য জেএমবিতে যোগ দেন বলে গোয়েন্দারা তথ্য পায়। তার আগে তিনি ভারতে পালিয়ে ছিলেন বলে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছে।

তিন বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণকাণ্ডেও সোহেলকে সন্দেহ করছে ভারতের গোয়েন্দারা।

বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সোহেল জেএমবির ভারত শাখার প্রধান ছিলেন।