প্রসিকিউশনের তিন মাসের সময়ের আবেদনে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ তারিখ নির্ধারণ করে দেয়।
প্রসিকিউশনকে এই সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন অথবা তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে হবে।
সময় আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর আবুল কালাম ও রেজিয়া সুলতানা চমন।
চমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসামি মাহবুবুবুর রহামনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত হত্যা, গণহত্যাসহ তিনটি অভিযোগ উঠে এসেছে তদন্তে।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অপহরণ, হত্যা, গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত চলছে।
“২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। আশা করি ট্রাইব্যুনালের নির্ধারিত তারিখের মধ্যেই তদন্তকাজ শেষ করে তা দাখিল করতে পারব।”
গত বছরের ২৯ জুলাই বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় মাহবুবুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ট্রাইব্যুনালের তলবের আদেশে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে ঢাকায় আনা হয় তাকে।
১৯৭১ সালের ৭ মে পাকিস্তানি বাহিনী মির্জাপুরে যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তাতে মাহবুবুরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারীরা।
তারা বলছেন, দানবীর রনদা প্রসাদ সাহা (আরপি সাহা) এবং তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে মির্জাপুরে না পেয়ে মাহবুবুরের দেওয়া তথ্যেই নারায়ণগঞ্জের ‘কুমুদিনী কমপ্লেক্স’ থেকে ধরে নিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। পরে আর তাদের পাওয়া যায়নি।
সেদিন জুমার নামাজের পর মওলানা ওয়াদুদের নির্দেশে ও তার দুই ছেলে মান্নান ও মাহবুবুরের নেতৃত্বেই মির্জাপুর বাজারে ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
তার এক সপ্তাহ পরে আসামি মাহবুবুর মির্জাপুরের আরও ২৪ জনকে আটক করে পাকিস্তানি আর্মি ক্যাম্পে দিয়ে আসেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যাদের মধ্যে ২২ জনের লাশ পরে মধুপুর সেতুর নিচে পাওয়া যায়।