সেইসঙ্গে রাজস্ব ফাঁকির সুযোগ করে দেওয়ায় শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুদকের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন বাদি হয়ে খুলনার খালিশপুর থানায় মামলাটি করেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচায্য জানিয়েছেন।
অভিযোগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মহাতাব উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম ও এম এ তালহা পরস্পর যোগসাজশে এককোটি ৭৯ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬০ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
এ কারণে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয় বলে তিনি জানান।
জাতীয় পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান তালহা ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর- ১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসন থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি মেসার্স পোর্টল্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের মালিক।
আর কাস্টমস হাউসের (খালিশপুর) সাবেক কমিশনার নুরুল ইসলাম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওএসডি)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৯ সালে এম এ তালহার মালিকানাধীন মেসার্স পোর্টল্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে একটি মামলা হয়। অভিযোগ দালিলিকভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল ট্রাইবুনালের তৎকালীন কমিশনার মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে আদেশ দেন।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মেসার্স পোর্টল্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড মংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজের নাবিকদের মদ, বিয়ার, হুইস্কি এবং প্রসাধনী সামগ্রী সরবরাহে শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করে।
“কিন্তু শুল্ক কর্মকর্তাদের সহায়তায় বিদেশিদের কাছে মিথ্যা বিক্রি দেখিয়ে অবৈধভাবে দেশের অভ্যন্তরে মদ, বিয়ার ও হুইস্কি বিক্রি করেছে মেসার্স পোর্টল্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড।”