গাবতলী হাটে পুড়ে মরল ৩৯ পশু

রাজধানীর গাবতলী পশুরহাটে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি গরু ও ২৬টি ছাগল জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2017, 05:41 AM
Updated : 29 June 2017, 08:58 AM

এছাড়া আগুনে দগ্ধ আরও ১৪টি গরুকে তাৎক্ষণিকভাবে জবাই করে ফেলেন পশু ব্যবসায়ীরা।

অগ্নিকাণ্ডের সময় হুড়োহুড়ির মধ্যে অন্তত অর্ধশত গরু-ছাগল চুরি হয়ে গেছে বলেও গাবতলী গবাদি পশু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মজিবুর রহমান অভিযোগ করেছেন। 

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা নাজমা আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গাবতলীর হাটে আগুন লাগে। তাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

কিন্তু ততক্ষণে রাজধানীর সবচেয়ে বড় এ পশুরহাটের তিনটি ছাউনি পুড়ে যায় বলে দারুস সালাম থানার ওসি মো. সেলিমুজ্জামান জানান।

তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

হাটের একজন ব্যবসায়ী জানান, প্রথমে হাটের দোচালা একটি ছাউনিতে আগুন লাগে এবং পরে পাশের দুই ছাউনিতে তা ছড়িয়ে পড়ে।

আগুন লাগার সময় ওই তিন ছাউনিতে কয়েকশ গবাদি পশু রাখা ছিল। আর  হাটে সে সময় অন্তত চার হাজার গরু-মহিষ-ছাগল ছিল বলে ব্যবসায়ী সমিতির ভাষ্য।

হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সারওয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাটে আনা পশু যেসব ছাউনিতে বেঁধে রাখা হয় সেগুলো প্লাস্টিকের তৈরি। ফলে আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

“আগুনে প্লাস্টিক গলে গলে পড়ায় ছাউনিতে বেঁধে রাখা সব পশু রক্ষা করা যায়নি। যেগুলো দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল সেগুলো কোনোরকমে বাঁচানো গেছে। শেকল বা চেইন দিয়ে যেগুলো বাঁধা ছিল সেগুলো মারা পড়েছে।”

মাস পাঁচেক আগেও একবার এ হাটে আগুন লেগেছিল জানিয়ে সারওয়ার হোসেন বলেন, “সেবার ক্ষয়ক্ষতি কিছু হয়নি। পশুর খাবারের জন্য যে খড় রাখা ছিল সেখান থেকে আগুন লেগেছিল। পশু ব্যবসায়ী বা কেউ বিড়ি-সিগারেট খেয়ে ফেলেছিল হয়ত। তবে ধারণা করছি, এবারেরটা তেমন কিছু না।”

আগুনের সময় অধিকাংশ ব্যাপারী গরু-ছাগলের কাছে ছিলেন না জানিয়ে গাবতলী গবাদি পশু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, “এজন্য চুরির ঘটনা ঘটেছে, ক্ষতি বেশি হয়েছে। আগুন লাগার পর কে কার গরু নিয়ে যাচ্ছে তা দেখার বা বাধা দেওয়ার কেউ ছিল না।”

ছাগল যে শেডে রাখা হত তার পুরোটাই পুড়ে যাওয়ায় এখন আর এই হাটে ছাগল রাখার কোনো জায়গা থাকল না বলে জানান তিনি। 

অবিলম্বে ছাউনিগুলো ঠিক করার দাবি জানিয়ে মজিবুর রহমান বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে হাট মালিক (ইজারাদার) এবং সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতাও প্রয়োজন।”