প্রাথমিকভাবে আগামী ৩০ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর অগাস্টে সাবেক সিইসি-ইসি ও গণমাধ্যম আর অগাস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের সূচি রাখা হয়েছে।
এর আগে ১৬ জুলাই চূড়ান্ত কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) প্রকাশ করা হবে।
বুধবার এ লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনার খসড়া নিয়ে একদফা আলোচনা করেছে নির্বাচন কমিশন। সার্বিক বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলোচনা করেন।
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈদের পরে বুধবার প্রথম কর্মদিবসেই প্রথম দফা আলোচনায় সিইসি মহোদয় কিছু বিষয় ঠিক করে দিয়েছেন। ৩ জুলাই আরেক দফা আলোচনা করে ১৬ জুলাই চূড়ান্ত অনুমোদিত রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে।
সংলাপের প্রাথমিক সূচি
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি: ৩০ জুলাই
সাবেক সিইসি ও ইসিদের সঙ্গে: ৩ অগাস্টে
গণমাধ্যম: ১৮ অগাস্ট
রাজনৈতিক দল: ২৫ অগাস্ট-২ অক্টোবর
সুপারিশমালার প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত: ১৮ নভেম্বর
সুপারিশমালার চূড়ান্তকরণ: ১৮ ডিসেম্বর
গত ২৩ মে আগামী দেড় বছরের কাজের খসড়া সূচি ঘোষণা করেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা।
এ বছরের জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
ওই সময় সিইসি বলেছিলেন, প্রস্তাবিত এজেন্ডা নিয়ে রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, সাবেক সিইসি ও ইসিসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সবার সুপারিশ, প্রস্তাব পেলে তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
রোডম্যাপ চূড়ান্তের পথে
রোডম্যাপের খসড়া প্রকাশ ২৩ মে
সিইসি, চার নির্বাচন কমিশনার, সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের অংশগ্রহণে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্তকরণ-প্রথম খসড়া উপস্থাপন ২৮ জুন, দ্বিতীয় খসড়া ৩ জুলাই; চূড়ান্ত খসড়া সংকলন ৬ জুলাই; চূড়ান্ত ৯ জুলাই; কর্মপরিকল্পনা মুদ্রণ ১৩ জুলাই; কর্মপরিকল্পনা উন্মোচন ১৬ জুলাই।
এ সংলাপে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, আইন সংস্কার, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র, ইসির সক্ষমতা বাড়ানো, সবার জন্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি ও ইভিএম নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।
২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবরের পর শুরু হবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা।