গ্যাস সমস্যা সাময়িক, বিদ্যুৎ ঠিক আছে: প্রতিমন্ত্রী

বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য গ্যাস উৎপাদন বন্ধ থাকায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাস সরবরাহের এ সমস্যা ‘সাময়িক’ জানিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, বিদ্যুতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2017, 06:18 AM
Updated : 28 June 2017, 08:13 AM

বুধবার সচিবালয়ে নিজের কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

নসরুল হামিদ বলেন, “আমরা আগে থেকেই জানিয়ে এসেছি যে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে সার্ভিসিং হবে। ঈদের আগে থেকে আমরা সবাইকে জানিয়ে আসছি, পেপারেও দিয়েছি।”

সে কারণেই সিএনজি ফিলিংস্টেশনগুলোতে গ্যাস দিতে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা বেশিক্ষণ নয়, ২৪ ঘণ্টার জন্য; গতরাত ১২টা থেকে আজ রাত ১২ পর্যন্ত।”

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান মঙ্গলবার রাতে ফিলিং স্টেশনে গ্যাস বন্ধ রাখার নির্দেশনা পাওয়ার কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

তিনি বলেন, পেট্রোবাংলা থেকে গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোকে একটি চিঠি পাঠানো হয়, তাতে সারা দেশের ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাস সরবরাহ ২৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখতে বলা হয়।

রাত ৯টার দিকে ওই ঘোষণা আসার পর রাজধানীর সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে যানবাহনের ভিড় লেগে যায়। কিন্তু রাত ১২টায় স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় গ্যাস না পেয়েই অনেককে ফিরতে হয়।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু (ফাইল ছবি)

মন্ত্রী আগে থেকে জানিয়ে আসার কথা বললেও ভুক্তিভোগী অনেকেই বলেছেন, ২৭ জুন রাত থেকে গ্যাস বন্ধ থাকবে এমন খবর তারা আগে শোনেননি। ফলে ঈদের ছুটির পর অফিস খোলার প্রথম দিনই সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের।

বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঈদের আগে পরে ১০ দিন ২৪ ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশন খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল। তার সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত সাংঘর্ষিক।

“ঈদে বাড়ি যাওয়া এবং বাড়ি থেকে ফেরার সুবিধার জন্য সরকার ২৪ ঘণ্টা পাম্প খোলা রাখার অনুমতি দিল। আবার এই সময়ের মধ্যেই সারাদেশে পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত… এ কারণে মানুষের অনেক দুর্ভোগ হবে।”

তবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলছেন, যেসব গাড়ি সিএনজিতে চলে, সেগুলো তেলেও চালানো যায়। ফলে বড় কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

“আমাদের সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিল পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে। তবে আমি দেখেছি, গ্যাসের কারণে পাওয়ারের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এখন যে অবস্থা আছে, ৫০০ থেকে ৬০০ এমসিএফ কমে গেছে বোধ হয়।

“বাট আমরা স্টেবল আছি। সব জায়গায় আমরা পাওয়ার ঠিক মতো দিতে পারছি। কারণ আমাদের হাতে কিছু রিজার্ভ ছিল। সেটা দিয়ে আমরা মোটামুটি কভার দিয়েছি।”

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে আরও দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে।