কাশিমপুরে বন্দিদের সঙ্গে শিশুরাও পেল নতুন কাপড়

নতুন কাপড়ে এবার ঈদ করছে কাশিমপুরের কেন্দ্রীয় কারাগার ও গাজীপুর জেলা কারাগারের বন্দি এবং তাদের সঙ্গে থাকা শিশুরা। পাশাপাশি ছিল ঈদ উপলক্ষে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা।

আবুল হোসেন গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2017, 10:19 AM
Updated : 26 June 2017, 11:49 AM

ঈদ উপলক্ষে এবারই প্রথম গাজীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ও তাদের সঙ্গে থাকা শিশুদের নতুন জামা-কাপড় দেওয়া হয়।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ জানান, তার কারাগারে ৪৬৯ জন নারী বন্দির সঙ্গে ৩২ জন শিশু রয়েছে। এখানে নারী বন্দিদের মধ্যে ১৬ জন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

তিনি বলেন, ঈদের আগের দিন রোববার সকালে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবির এ কারাগারের দরিদ্র বন্দিদের ৩২০টি শাড়ি এবং শিশুদের জন্য জামা দেন।

কারা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দেড়শ নারী বন্দিকে সালোয়ার-কামিজও দেওয়া হয় বলে জেল সুপার জানান।

একইদিনে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ ৪০০ লুঙ্গি, কারাগার-২-এ ৬০০ লুঙ্গি, হাই সিকিউরিটি কারাগারে ১৫৫ লুঙ্গি, গাজীপুর জেলা কারাগারের ১২০ বন্দিকে লুঙ্গি ও ৫০ নারী বন্দিকে শাড়ি এবং দুই শিশুকে জামা দেন জেলা প্রশাসক।

সোমবার ঈদের সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১ ও ২ এবং হাই সিকিউরিটি কারাগারে হয় মোট ছয়টি জামাত। বন্দিদের সঙ্গে কারা কর্মকর্তারাও এসব জামাতে অংশ নেন। 

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, সেখানে ঈদের তিনটি জামাত হয়েছে। 

 

এ কারাগারে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, টাঙ্গাইলের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও ডেসটিনির মালিক মো. হোসেনসহ এক হাজারের মত বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮০ জনের মত ফাঁসির আসামি রয়েছেন।

তিনটি জামাতের কোনোটিতেই সাঈদী ও বাবর অংশ নেননি বলে জানিয়েছেন এক কারা কর্মকর্তা। তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কারাগারের সুপার সুব্রত কুমার বালা কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, তার কারাগারে বন্দিদের জন্য একটি জামাত হয়েছে।

এ কারাগারে বন্দি রয়েছেন দুই হাজারের বেশি; যার মধ্যে ১৩৮ জন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, এ কারাগারে দুইটি জামাত হয়েছে।

এ কারাগারের এক হাজার ৬৩৯ জন বন্দির মধ্যে ছয়শ’র মত ফাঁসির আসামি রয়েছেন।

গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার মো. নেছার আলম জানান, তার কারাগারে একটি ঈদের জামাত হয়েছে।

এ কারাগারে নারী-পুরুষ মিলিয়ে এক হাজারের মত বন্দি রয়েছে; তবে এখানে ফাঁসির কোনো আসামি নেই বলে জানান তিনি।

ঈদের সকালে এসব কারাগারের বন্দিদের পায়েশ ও মুড়ি দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়।

দুপুরে দেওয়া হয় সাদা ভাত/খিচুরি, আলুর দম ও মাছ।

আর রাতের খাবারের তালিকায় পোলাও, মাংস, ডিম, সালাদ, পান-সুপারি, মিস্টি ও কোল্ড ড্রিংকস রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।