উত্তরের পথে বাসের অপেক্ষা রোববারও

ঈদযাত্রার শেষ দিকে এসেও বাস কাউন্টারগুলোতে অপেক্ষার রেশ কাটেনি উত্তরবঙ্গ যাত্রীদের; মহাসড়কে যানজটের কারণে এমন অবস্থা বলছেন পরিবহন ব্যবস্থাপকরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2017, 10:20 AM
Updated : 25 June 2017, 10:20 AM

রোববার রাজধানীর গাবতলী ও কল্যাণপুরের বিভিন্ন কাউন্টার ঘুরে যাত্রীদের অপেক্ষার এ চিত্র দেখা যায়; তবে ঈদযাত্রার সময় হিসেবে ১/২ ঘণ্টা অপেক্ষাকে ‘স্বাভাবিকই’ ভাবছেন ঘরমুখো মানুষ।

স্ত্রীকে নিয়ে কল্যাণপুরের শ্যামলী পরিবহন কাউন্টারে অপেক্ষার সময় কথা হয় গাইবান্ধার যাত্রী শফিকুর রহমান জীবনের সঙ্গে।

সকাল পৌনে ৮টার গাড়ি কাউন্টারের সামনে সোয়া ৯টায় এসেছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী; তার এই অপেক্ষার শুরু হয়েছিল সকাল সোয়া ৭টা থেকে।

জীবন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যানজটের কারণে গাড়ি ঠিক সময়ে আসেনি, সেজন্য দেরি। এখন গাড়ি আসছে। কিছুক্ষণের মধ্যে ছাড়বে। ঈদের সময় যেমন হয় আর কি...”

একই বাসের যাত্রী দর্জি দোকানি হুমায়ুন কবিরের ভাষ্যও একই রকম।

গাইবান্ধার গাড়িতে দেরি এবং রাস্তার পরিস্থিতি সম্পর্কে শ্যামলীর ওই কাউন্টারের মাস্টার হিরু সরকার বলেন, শনিবার মহাসড়কে যানজটের কারণে আগেরদিন গাড়ি গাইবান্ধায় ঠিক সময়ে পৌঁছায়নি, ফিরতেও পারেনি। সেজন্য দুই ঘণ্টার মতো দেরি হচ্ছে।

“একেক রুটের পরিস্থিতি একেক রকম। কোনো গাড়ি ঠিক সময়ে যাচ্ছে, আবার কোনো কোনো গাড়ি এক, দুই, তিন ঘণ্টাও লেট হচ্ছে।”

রোববার সকালের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ির ধীরগতি থাকলেও যানজট ‘সহনীয়’ বলে মন্তব্য করেন হিরু।

তিনি জানান, শ্যামলীর ওই কাউন্টারটি থেকে গাইবান্ধা ছাড়াও রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, দিনাপজুরসহ উত্তরবঙ্গের সব জেলার গন্তব্যে গাড়ি যায়।

ঈদে বাড়ি ফেরায় বাসের অপেক্ষায় যাত্রীরা (ফাইল ছবি)

শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে হানিফ এন্টারপ্রাইজের আগের দিন রাতের রংপুরগামী চারটি এসি বাস রোববার সকালে ছেড়ে যায়; শুক্রবার রাতের বাসও শনিবার সকালে গন্তব্যে রওনা করেছিল।

হানিফ এন্টারপ্রাইজের কল্যাণপুরের ওই কাউন্টারের ব্যবস্থাপক একেএম রইসুল আলম সবুজ বলেন, “এসি বাস সব মিলে চারটা। যানজটের কারণে দেরি হওয়ায় আমরা রাতের গাড়ি সকালে ছেড়েছি। রিশিডিউলের কথা যাত্রীদের রাতেই জানানো হয়েছিল।”

এদিকে রংপুরের একটি এসি বাসে একই সিটে দুই যাত্রীর সিট বরাদ্দ হওয়ার প্রেক্ষাপটে এক যাত্রী ও কাউন্টার ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে বচসা হতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে তুলনমূলক ফাঁকাই ছিল মহাখালী বাস টার্মিনাল। দুপুরের দিকে অলস সময় কাটাতে দেখা যায় পরিবহনগুলোর টিকেট কাউন্টারের কর্মচারীদের।

ঢাকা থেকে সিলেট-চট্টগ্রামগামী এনা পরিবহনের (এসি) কাউন্টার ম্যানেজার সুমন হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকালের দিকে যাত্রীদের চাপ থাকলেও এখন প্রায় ট্রিপেই চার-পাঁচ সিট খালি যাচ্ছে।”

সিলেট- চট্টগ্রাম মহাসড়কে জট অন্যদিনের তুলনায় কম বলে প্রায় নির্ধারিত সময়ে বাস ছেড়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

টিকেট কাউন্টারে অপেক্ষমাণ একটি বুটিক ফ্যাশন হাউজে কর্মরত মোহাম্মদ সুমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফ্যাশন হাউজগুলোতে ছুটি দেওয়া হয় ঈদের আগের দিন, তাই আজ বাড়ি ফিরছি।”

নির্বিঘ্নে বাস পেয়েছেন বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সুমন।