দেশে নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

বর্তমানে দেশে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2017, 01:13 PM
Updated : 24 June 2017, 01:13 PM

পুলিশের কয়েকটি বিশেষায়িত ইউনিটের ধারাবাহিক অভিযানের কারণে জঙ্গিদের ক্ষমতা ক্ষয়িষ্ণুবলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

শনিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে ঢাকার পুলিশ প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। গত বছর হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ার অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে সারা বছর গোয়েন্দারা কাজ করেছেন।”

তিনি বলেন, “পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও সোয়াট সদস্যরা বছর জুড়ে ধারাবাহিকভাবে সফল অভিযান পরিচালনা করেছে। তথাকথিত জঙ্গিদের ক্ষমতা অত্যন্ত ক্ষয়িষ্ণু।

ঈদে রাজধানীর বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যাবতীয় ব্যবস্থানেওয়া হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, “প্রত্যেকটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। এটাকে সাধারণভাবে নিতে চাই না।”

তিনি জানান, ঈদুল ফিতরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। ঈদগাহের আউটার কর্ডনে আর্চওয়ে থাকবে। দোয়েল চত্বর, ইউবিএল ক্রসিং ও মৎস্য ভবন এলাকায় থাকবে চেকপোস্ট। ঈদগাহের আধা কিলোমিটার আগে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

ঈদের দিন পুরো জাতীয় ঈদগাহ এলাকা ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হবে বলেও জানান আছাদুজ্জামান মিয়া।

কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে।

ঈদ উপলক্ষে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই রাজধানী জুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থাগড়ে তোলা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, রোজার প্রথম দিন থেকে শপিংমল, বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালে  চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, কালোবাজারি, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান ও মলম পার্টির তৎপরতা অনেকাংশে কঠোর নিয়ন্ত্রণে েছিল। এখনো নগরবাসী উৎসবমুখর পরিবেশে ক্রয়-বিক্রয় করছে।

ঈদের সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসা-বাড়ি ও বিপণি বিতানগুলো ফাঁকা হয়ে যায় বলে এই সময়ের নিরাপত্তায় কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, ঈদের সময় আবাসিক এলাকাগুলোতে টহল বাড়ানোর পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক দায়িত্বে থাকা বেসরকারি নিরাপত্তা প্রহরীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।   

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলামসহ মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে ছিলেন।