‘ঈদ জামাতে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে নয়’

জাতীয় ঈদগাহে ঈদ জামাতে যাওয়ার সময় এবার জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু না নিতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2017, 08:47 AM
Updated : 25 June 2017, 08:10 AM

পুলিশের তল্লাশির সময় জায়নামাজ দেখতে চাওয়া হলে সবাইকে সহযোগিতা করতেও অনুরোধ করেছেন তিনি।

শনিবার জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা প্রস্তুতি পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদগাহে আসার সময় প্রত্যেককে তল্লাশির মধ্যে দিয়ে আসতে হবে।”

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সোম অথবা মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বাংলাদেশের মুসলমানরা। বরাবরের মত এবারও ঈদের প্রধান জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে।

তবে আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় হবে ঈদের প্রধান জামাত।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেবেন।

জাতীয় ঈদগাহে ৮৪ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার নারীরও ঈদ জামাতে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

>> ঈদ জামাত ঘিরে জাতীয় ঈদগাহে থাকবে চারস্তরের নিরাপত্তা।

>> ঈদগাহের এক কিলোমিটার দূরে থাকবে তল্লাশি চৌকি। বিভিন্ন স্থানে বসানো হবে ওয়াচ টাওয়ার ও ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা।

>> ঈদগাহের চারপাশে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, সোয়াট, গোয়েন্দা পুলিশ এবং সাধারণ পোশাকের পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি ডগ স্কোয়াড থাকবে নিরাপত্তার দায়িত্বে।

>> জাতীয় ঈদগাহে থাকবে তিনটি প্রবেশ পথ। এর মধ্যে একটি নারীদের জন্য, একটি সাধারণের জন্য এবং অন্যটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য।

নিরাপত্তার এই কড়াকড়ি জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার বলেন, “নিরাপত্তার জন্যই এই ব্যবস্থা।”

কোনো ধরনের জঙ্গি হুমকি নেই বলেও আরেক প্রশ্নের জবাবে জানান তিনি।

শনিবার ঈদগাহ পরিদর্শন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনও বলেছেন, জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নাশকতার কোনো আশঙ্কা তারা দেখছেন না।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঢাকা মহানগরে ছোট-বড় অন্তত পাঁচশ ঈদ জামাত হবে। সবগুলো জামাত ঘিরেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।