রংপুরের পথে সকালের ট্রেন বিকালে

ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন শনিবার ঘরমুখো যাত্রী নিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে কমলাপুর স্টেশন ছাড়ছে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন। তবে উত্তরের পথের ট্রেন ছাড়তে দেরি হয়েছে কয়েক ঘণ্টাও।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2017, 04:53 AM
Updated : 24 June 2017, 08:33 PM

রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৯টায় রংপুর এক্সপ্রেসের কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা ছেড়েছে বিকাল ৩টায়।

এছাড়া তিস্তা এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও স্টেশন ছেড়ে গেছে সকাল পৌনে ৮টায়। ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা নীলসাগর এক্সপ্রেসের। ৩৫ মিনিট দেরিতে সেটি চিলাহাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

রংপুর এক্সপ্রেস শুক্রবারও দুই ঘণ্টা দেরি করে ছেড়েছিল। রংপুরের এই ধরতে সকাল সাড়ে ৮টায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে স্টেশনে আসা শহীদুল হক বলেন, “ঠিক টাইমে ছাড়বে মনে করেছিলাম। স্টেশনে এসে শুনি ট্রেন লেট। এখন আর অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই। তবে বাচ্চাটা খুব বিরক্ত হচ্ছে।”

কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ট্রেন ছাড়তে কিছুটা দেরি হচ্ছে। রংপুর এক্সপ্রেস গতকাল গেছে দেরিতে, এ কারণে আজ ঢাকায় ফিরতে দেরি হয়েছে। নীলসাগর আধাঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে, তবে এটা কোনো বিষয় না। ঈদের সময় এরকম হয়। ১০-২০ মিনিট ধরার মত না।”

আগের দিনের মতো শনিবারও ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে দরজায় ঝুলে এবং ট্রেনের ছাদে চড়ে যাত্রা করেন অনেক।

নীলসাগর এক্সপ্রেসের দরজার পাশে দাঁড়িয়ে পার্বতীপুর রওনা হওয়া আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টিকেট পাই নাই, এইভাবেই যেতে হবে। এত সময় দাঁড়িয়ে থাকা অনেক কষ্টের। কিন্তু কিছু করার নাই।”

এই ট্রেনের যাত্রী রেবেকা সুলতানা বলেন, কষ্ট হলেও বাড়ি পৌঁছালে তা আর মনে থাকবে না।

“একটা ঈদেই তো বাড়ি যেতে পারি। শ্বশুরবাড়ি, বাবার বাড়ি সব ওখানে। তাছাড়া আত্মীয়স্বজন আছে, ঈদে সবার সঙ্গে দেখা হয়। না গিয়ে উপায় কী… টান আছে না?”