শিশুটির মা রওশন আক্তার (৩৬) ও ধর্ষণে অভিযুক্ত ইয়াসিনকে (২৯) বৃহস্পতিবার রাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে বলে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি গনেশ গোপাল বিশ্বাস জানিয়েছেন।
রাজধানীর একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া শিশুটির বাবা শাহ আলম পেশায় ব্যবসায়ী। মেয়েটি তাদের একমাত্র সন্তান। তেজগাঁওয়ের শাহীনবাগে তাদের বাসা।
ওসি গনেশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই ঘটনায় শুক্রবার শেরেবাংলা নগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিশুটি বাবা মামলা করেছেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে থেকে জানা যায়, ১৮ জুন বিকালে শাহ আলম বাসায় ফিরে দেখেন ঈদের কেনাকাটা করার কথা বলে তার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন। কিন্তু তারা বাসায় না ফেরায় ও স্ত্রীর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তিনি পর দিন তেজগাঁও থানায় একটি জিডি করেন।
ইয়াসিন ও রওশন গ্রেপ্তার হলেও এসময় ওই বাসা থেকে কয়েক জন পালিয়ে যায়।
পরে শিশুটি র্যাব এবং তার বাবা শাহ আলমকে জানায়, গত ১৮ জুন তাকে নিয়ে তার মা ফার্মগেট এলাকায় যায় এবং সেখানে কয়েকজন মিলে তাকে জোরপূর্বক প্রাইভেটকারে তুলে হাতে একটি আংটি পরিয়ে দেয়।
শিশুটি র্যাবকে বলেছে, পরে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে একটি বাড়িতে উঠে এবং সেখানে নিয়ে ইয়াসিন তাকে ধর্ষণ করে। ২১ জুন মুন্সিগঞ্জ নিয়ে স্থানীয় আলম চান (৫২) ও আনোয়ারা বেগমসহ (৪৭) স্থানীয় মেম্বার, মৌলভী মিলে ইয়াসিনের সাথে বিয়ে দেওয়ায়। এর পুরোটাই তার মা সহায়তা করে।
শিশুটির এক স্বজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইয়াসিনের সাথে রওশন আক্তারের ‘অবৈধ সম্পর্ক’ ছিল। সেটা টিকিয়ে রাখতে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ইয়াসিনকে নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিল।
শিশুটিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।