খালেদার বিরুদ্ধে দুই মামলায় শুনানি ২৯ জুন

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির দুই মামলার শুনানির জন্য নতুন দিন ঠিক করেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2017, 11:31 AM
Updated : 22 June 2017, 11:51 AM

বৃহস্পতিবার বকশীবাজারের ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে খালেদার উপস্থিতিতে বিচারক মো. আকতারুজ্জামান ২৯ জুন শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেন বলে জানান আসামি পক্ষের অন্যতম আইনজীবী নূরুজ্জামান তপন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরায় অংশ নেওয়া মূল আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান ‘চিকনগুনিয়া’ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় সময় চাওয়া হয়।

“তবে সময়ের আবেদন জমা দিলেও দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় জেরা হিসাবে তদন্ত কর্মকর্তাকে কমপক্ষে একটি প্রশ্ন করার জন্য আসামি পক্ষকে নিদের্শ দেন বিচারক।”

পরে আসামি পক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম তদন্ত কর্তাকে একটি প্রশ্ন করে দিনের বিচার ‘মুলতবির’ সুযোগ পান বলে নূরুজ্জামান জানান।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতে এসে পৌঁছান।

এদিন জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জেরার পাশাপাশি খালেদার আত্মপক্ষ শুনানিতে অসমাপ্ত বক্তব্যের দিনও ধার্য ছিল। পাশাপাশি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আত্মপক্ষ শুনানির দিনও নির্ধারিত ছিল।

হাই কোর্টে বিচারাধীন থাকার কথা তুলে ধরে এই মামলায়ও সময়ের আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২৯ জুন দিন ঠিক করেন।

এর আগে একই আদালতে  গত বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপস্থিতিতে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর রশীদকে জেরা শুরু করে অসুস্থ হয়ে পড়েন আব্দুর রেজাক খান।

ওই দিন জেরা অসমাপ্ত রেখেই শুনানি ২২ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেন বিচারক।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদার বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের অর্থ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে মামলাটি কের দুদক।

এতে খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলার আসামি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি হয়।

২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলা দায়েরের পর ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়।

এই মামলায় খালেদার ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।