প্রযুক্তি উদ্ভাবন, গবেষণা ও উন্নয়নমূলক (আরঅ্যান্ডডি) প্রকল্পের সাফল্য ও অর্জন সম্পর্কে বৃহস্পতিবার অবহিতকরণ বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন, “গরীব মানুষের টাকা যেন আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারি সেদিকে নজর রাখতে হবে। গবেষকদের লক্ষ্য রাখতে হবে, তাদের প্রকল্পগুলো যেন দরিদ্র মানুষের কোনো না কাজে লাগে।
“আমাদের জবাবদিহিতা করতে হবে, প্রধানমন্ত্রী চান পাই পয়সাও যেন আমরা মানুষের স্বার্থে ব্যবহার করি।”
গবেষণা প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে গবেষকরা দাবি তুললে তিনি জানান, আগামী অর্থ বছর থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গবেষণা খাতে অর্থ বাড়াবে।
ইয়াফেস ওসমান বলেন, “শুধুমাত্র থিওরিটিক্যাল প্রজেক্ট নয়, সাবমিশনের ক্ষেত্রে আমরা সাধারণ মানুষ বা দরিদ্রদের কথাই কিন্তু প্রিফারেন্স দেব। আমি বলব, প্রতি বছর এত বেশি প্রজেক্ট নেওয়ার আসলে দরকার নাই। ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি নিয়ে কাজ করতে আসা এনজিওদের আমরা নিরুৎসাহিত করছি। প্রকৃত বিজ্ঞানীদের গবেষণা খাতে আমরা অর্থ বরাদ্দ দেব।”
প্রযুক্তিমন্ত্রী জানান, এবার তার মন্ত্রণালয় ওষুধ, চামড়াসহ শিল্পভিত্তিক গবেষণার দিকে জোর দেবে।
সেমিনারে ‘বিজ্ঞান শিক্ষায় গবেষণার গুরুত্ব, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শিরোনামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রওশন আরা বেগম।
তিনি জানান, ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছর থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় উদ্ভাবন এবং গবেষণার মান বৃদ্ধির জন্য বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রকল্পে আর্থিক অনুদান দিয়ে আসছে।
সেমিনারে চারজন গবেষক ও বিজ্ঞানী তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।