দেশে বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি আবাসিক খাতে: বিপু

দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের অর্ধেকের বেশি আবাসিক খাতে ব্যবহৃত হয় বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

সংসদের বৃহস্পতিবারের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

বিপু জানান, বর্তমানে দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার ৩৭৯ মেগাওয়াট। বিদ্যুতের  দৈনিক চাহিদা গড়ে সাড়ে আট হাজার থেকে নয় হাজার মেগাওয়াট। 

প্রতি বছর আট থেকে ১০ শতাংশ করে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

খাতভিত্তিক বিদ্যুতের ব্যবহার      

>> আবাসিক খাতে ব্যয় ৫০ দশমিক ৯৮ শতাংশ      

>> শিল্প খাতে ৩৪ দশমিক ২৮ শতাংশ      

>> বাণিজ্যিক খাতে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ      

>> কৃষি খাতে ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ       

>> অন্যান্য খাতে ব্যয় ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ বিদ্যুৎ

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ চুরি অতীতের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যুতের সিস্টেম লস সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। তারপরও কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে অসাধু গ্রাহকরা বিদ্যুৎ চুরি করে থাকে।”

আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে বিপু বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বিদ্যুৎ বিল আদায়ের হার ৯৮ দশমিক ২০ শতাংশ এবং সিস্টেম লস ১৬ দশমিক ৮৫ হতে ১৩ দশমিক ১০ হ্রাস পেয়েছে।

গ্যাসের অবৈধ সংযোগের প্রকৃত কোনো তথ্য সরকারের জানা নেই বলে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, তবে আবাসিক খাতে ব্যবহৃত অবৈধ গ্যাস সংযোগের তথ্য রয়েছে। বর্তমানে চিহ্নিত এক লাখ আট হাজার ৮০০টি অবৈধ দ্বৈত চুলোর সংযোগ রয়েছে। এতে মাসে প্রায় নয় এমএমসিএম গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে।