আগের দিন ট্রেনসূচিতে গড়বড় দেখা গেলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ট্রেনগুলো নির্ধারিত সমযেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে বলে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “দিনের শুরু থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত মোট ২৫টি ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে গেছে। সূচি মোটামুটি ঠিকই আছে। পরের ট্রেনগুলোও নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাবে বলে আশা করছি।”
প্রতিটি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার সময় লিখে রাখছেন কমলাপুর স্টেশনে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা।
আনসার কমান্ডার ইয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দিনের প্রথম ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস নির্ধারিত ৬টা ৩৫ মিনিটেই সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় নির্ধারিত সময় ৭টায়।
এছাড়া এগারসিন্ধুর প্রভাতী ৭টা ১৫ মিনিটে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে, তিস্তা ৭টা ৩০ মিনিট দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশ্যে, মহানগর প্রভাতী ৭টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে এবং নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় চিলাহাটির উদ্দেশ্যে, রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় রংপুরের পথে এবং অগ্নিবীনা এক্সপ্রেস সকাল পৌনে ১০টায় তারাকান্দির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
রোজার ঈদে ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের জন্য গত ১২ জুন থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করে রেলওয়ে। সেদিন যারা টিকেট কিনেছিলেন, তারা গন্তব্যে রওনা হয়েছেন বুধবার।
আর ১৩ জুন যারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কমলাপুর থেকে আগাম টিকেট কিনতে পেরেছেন, তারা বৃহস্পতিবার বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন।
বুধবার সকালের ভাগে ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ে কমলাপুর ছাড়লেও সকাল ৯টার পর থেকে শুরু হয় জটিলতা। সারা দিনে যাত্রী নিয়ে রওনা হওয়া ৪৯টি ট্রেনের মধ্যে অন্তত দশটি ট্রেন আধা ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা বিলম্বিত হয় বলে রেল কর্তৃপক্ষের তথ্য।
এবার ঈদের সরকারি ছুটি ২৫ থেকে ২৭ জুন। তার আগে দুদিন শুক্র আর শনিবার থাকায় বৃহস্পতিবার অফিস শেষে ঈদযাত্রার মূল চাপ শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন।
এবার ঈদে মোট ১ হাজার ৩৩২টি কোচ দিয়ে যাত্রীসেবা দিচ্ছে রেলওয়ে। ঢাকা থেকে ৬০ হাজার এবং চট্টগ্রাম থেকে ১৫ হাজার যাত্রীসহ সারাদেশে প্রতিদিন ২ লাখ ৬৫ হাজার যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে রেলওয়ের।