নিবন্ধনবিহীন মোটর সাইকেল বাজেয়াপ্তর সিদ্ধান্ত

সড়কে চলাচল করা নিবন্ধনবিহীন মোটর সাইকেল বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2017, 02:06 PM
Updated : 21 June 2017, 02:06 PM

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে দাবি করে আমু বলেন, “লাইসেন্সবিহীন (নিবন্ধনবিহীন) মোটর সাইকেল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কেউ লাইসেন্সবিহীন মোটর সাইকেল ব্যবহার করে তাহলে সেটা পারমানেন্টলি বাজেয়াপ্ত করা হবে।”

মোটর সাইকেল বাজেয়াপ্ত করার দায়িত্বে কোন সংস্থা থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটার জন্য বিশেষ আইনের দরকার নেই। যারা চেক করে, তারাই (পুলিশ) মোটর সাইকেল বাজেয়াপ্ত করবে।”

দেশে জঙ্গি অর্থায়ন রোধের বিষয়েও সভায় আলোচনা হয় বলে জানান আমু।

“কোনো ব্যক্তি, সংগঠক বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অর্থের অস্বাভাবিক লেনদেন পরিলক্ষিত হলে বা অনুরুপ কোনো হিসাবের খোঁজ পাওয়া গেলে বাংলাদেশ ব্যাংক তা গোয়েন্দা বাহিনীকে জানাবে।”

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জঙ্গিরা অর্থ লেনদেন করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী।

‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে’ আর্থিক ব্যবস্থাপনা প্রতিরোধে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টদের সিম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের পাশাপাশি কেওয়াইসি (আপনার গ্রাহককে জানুন) ফরম পূরণ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।

সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি না কিংবা অবৈধ অর্থের লেনদেন হচ্ছে কি না, তার উপর নজরদারি চলছে বলে আমু জানান।

আসন্ন ঈদে ঢাকার ৪১০টি ঈদের জামাতসহ সারা দেশে ঈদের জামাতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঈদে দূতাবাস এলাকাসহ বিভিন্ন বাস টার্মিনাল নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে।

গত ঈদুল ফিতরে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে জঙ্গি হামলার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও জানান আমু।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নসহ পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বৈঠকে অংশ নেন।