স্বস্তির শুরুর পর ট্রেনসূচিতে গড়বড়

ঈদযাত্রার শুরুর দিন সকালের ভাগে আগাম টিকিটের যাত্রীদের নিয়ে রাজধানী থেকে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছেড়ে গেলেও কয়েক ঘণ্টা পার হতেই শুরু হয়েছে জটিলতা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2017, 10:50 AM
Updated : 21 June 2017, 01:35 PM

বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে পাঁচটি ট্রেনের কমলাপুর ছাড়ার কথা থাকলেও সবগুলোই নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে যাত্রা করে।

কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলছেন, বগিতে সমস্যা দেখা দেওয়ায় এবং ঢাকায় ফিরতে দেরি হওয়ায় সময়সূচিতে এই গড়বড়।

সিলেটের উদ্দেশে ‘জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস’ দুপুর ১২টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও একটি বগিতে সমস্যা থাকায় দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে ছেড়ে যায়।

এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ‘রাজশাহী এক্সপ্রেস’ ১২টা ২০ মিনিটের বদলে দুপুর ২টায় স্টেশন ছেড়ে যায়।

ট্রেনের জন্য অপেক্ষা

ময়মনসিংহের উদ্দেশে ‘ঈশাখাঁ এক্সপ্রেস’ বেলা সাড়ে ১১টার ছাড়ার কথা থাকলেও দেরি করে দুপুরে সোয়া ১২টায় ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ে।

অন্যদিকে ‘চট্টলা এক্সপ্রেস’ বেলা ১টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দুপুর ২টা ৩৮ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।

সিতাংশু চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস স্টেশনে আসতে দেরি হওয়ার পাশাপাশি এর একটি বগিতে সমস্যা থাকায় ছাড়তে দেরি হয়।”

একই ধরনের সমস্যার কারণে চট্টলা এক্সপ্রেসও ছাড়তে দেরি হয়েছে বলে জানান তিনি।

আর রাজশাহী এক্সপ্রেস লোকাল ট্রেন জানিয়ে সিতাংশু বলেন, “এই ট্রেনটি নিয়মিতভাবে সময়সূচির অনিয়ম করে থাকে।”

ট্রেনের অপেক্ষা করতে করতে ঘুম

এর আগে সকাল ৯টায় ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ এক ঘণ্টা দেরি করে ১০টায় রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি আসতে দেরি হওয়ায় ও একটি বগি পরিবর্তনের কারণে ছাড়তে দেরি হয় বলে স্টেশন ম্যানেজার জানান।

ট্রেনের সময়সূচি বিগড়ে যাওয়ায় যাত্রীরা ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাগর চৌধুরী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের যাত্রী। স্টেশনে তিনি ছোট ভাইকে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন।

সাগর বলেন, “আমরা দুই ভাই সকাল সাড়ে ১১টায় স্টেশনে আসি, কিন্তু দেড় ঘণ্টা দেরির পর ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে আসে। ট্রেনের অপেক্ষায় থাকাটা বড় কষ্টকর।”

ট্রেনে দেরি, তাই অপেক্ষা

চট্টলার যাত্রী ভাই-বোন আসাদুজ্জামান আবির ও আয়েশা খানম আশা জানান, ট্রেন দেড় ঘণ্টাও বেশি সময় দেরি করেছে। এত দেরি হওয়াটা কাম্য নয়। গরমের মধ্যে বসে বসে ব্যাগ পাহারা দিতে হয়েছে তাদের।

তবে সকালে নির্ধারিত সময় মেনে ট্রেনগুলোর ঢাকা ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন স্টেশন ব্যবস্থাপক সিতাংশু চক্রবর্তী নিজেই।

সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় পারাবত এক্সপ্রেস; চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ছেড়েছে সকাল ৭টায়।

একটি ট্রেন ছেড়ে গেল স্টেশন

এগারসিন্দুর ৭টা ১৫ মিনিটে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে, তিস্তা ৭টা ৩১ মিনিটে দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশে, মহানগর প্রভাতি ৭টা ৪৮ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে আর নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় চিলাহাটির পথে ছেড়ে যায়।

রোজার ঈদে ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলার যাত্রীদের জন্য গত ১২ জুন থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করে রেলওয়ে।