মহাসড়কে জট থাকলেও যাত্রার শুরু স্বস্তিতে

ঈদে বাড়ি ফেরার যাত্রার প্রথম দিন মহাসড়কের কোথাও কোথাও যানজটের খবর পাওয়া গেলেও রাজধানীর বাস টার্মিনালের চিত্র ছিল মোটামুটি স্বস্তিদায়ক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2017, 09:24 AM
Updated : 21 June 2017, 11:27 AM

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর অন্যতম প্রধান বাস টার্মিনাল গাবতলীতে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বাসে যাত্রীদের তেমন চাপ দেখা যায়নি, টিকিটও পাওয়া যাচ্ছে সহজে। সিট ফাঁকা থাকায় অনেক বাসে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলতেও দেখা গেছে।

তবে বৃহস্পতিবার অফিস ছুটির পর যাত্রীর চাপ বাড়বে বলে ধারণা করছেন কাউন্টার ম্যানেজাররা।

কুষ্টিয়াগামী স্কাইলাইন পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার খলিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজকে দিনের সার্ভিসগুলোতে দু-চারটে সিট ফাঁকা; যারা যাচ্ছেন তাদের মধ্যে আগাম টিকিটের যাত্রীও আছেন।”

অনেকে কাউন্টারে এসে ২২, ২৩ ও ২৪ তারিখের টিকিট চাইলেও ওই তিনদিনের কোনো সিট ফাঁকা নেই বলে জানান তিনি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী সোম বা মঙ্গলবার ঈদ হওয়ার কথা থাকলেও ছুটির আগে বৃহস্পতিবারই শেষ কর্মদিবস। তবে গত ১২ জুন বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছিল বুধবারের টিকেট দিয়ে। ফলে সরকারি ছুটি শুরু না হলেও বুধবারই ঈদযাত্রা শুরু হয়ে গেছে।  

এদিন ঢাকা থেকে যাত্রার শুরুটা নির্বিঘ্নে হলেও দক্ষিণবঙ্গগামী ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ অংশ ও উত্তরবঙ্গগামী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোথাও কোথাও যানজটে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের।

কুষ্টিয়াগামী আর কে এক্সক্লুসিভ এর কাউন্টার ব্যাবস্থাপক সজীব খান বলেন, যানজটের আশঙ্কায় অনেক যাত্রী আগেভাগেই ভেঙে ভেঙে চলে গেছেন। বুধবার যাত্রীর চাপ কম থাকার এটাও একটি কারণ।

“গতকাল যা চাপ ছিল, আজ তাও নেই। ৩৬ সিটের বাসের ২১ সিটই ফাঁকা। যানজটের আশঙ্কায় যাত্রীরা আগেভাগেই ভেঙে ভেঙে চলে যাচ্ছে।”

জয়পুরহাট, ঠাকুরগাঁ, পঞ্চগড় জেলায় চলাচলকারী কেয়া পরিবহনের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন বলেন, ওই তিন জেলায় তাদের প্রতিদিন দুটি করে বাস যাচ্ছে। বুধবার যাত্রীদের তেমন চাপ নেই।

তবে মহাসড়কে যানজটের কারণে বাস ছাড়তে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা দেরি হচ্ছে বলে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার জীবন জানান।

তিনি বলেন, “১৮, ১৯, ২০ জুন- এই তিনদিন যে পরিমাণ যাত্রীর চাপ ছিল, আজকে সেই তুলনায় অনেক কম। তবে কাল পরশুর সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ২২-২৩ তারিখের টিকিট কিনতে এসে অনেক যাত্রী ফেরত যাচ্ছেন।”