নিহতের নাম পারুল বেগম (২৬)। বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়ায়। তার স্বামী বাদল একটি বেরসকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক।
কদমতলী থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) মো. সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার দুপুরে নামা শ্যামপুর বড় মসজিদের পাশে ভুট্টুর বাড়ির চতূর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে পারুলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাদল রাতে বাসায় ছিলেন না বলে পুলিশের কাছে দাবি করছেন। তিনি বলেছেন, স্ত্রী মারা যাওয়ার খবর পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি।
বাদলকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পেশার কারণে বাদল মাঝে-মধ্যে রাতে বাসায় ফিরতেন না বলে জানান পারুলের বাবা সুলতান খান, মেয়ে হত্যার খবর পেয়ে বাগেরহাট থেকে ফিরেছেন তিনি।
সুলতান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছয় বছর আগে বাদল ও পারুলের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে কোনো সন্তান ছিল না। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো ঝগড়ার কথাও তিনি শোনেননি।
মেয়েকে হত্যার কারণ কী মনে করছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটে থাকি। তাই কে হত্যা করতে পারে আমার মেয়েকে, বুঝতে পারছি না।”
তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে পারুল দ্বিতীয় ছিল। নামা শ্যামপুরের ওই বাসাটি পাঁচ মাস আগে ভাড়া নিয়েছিলেন বাদল।
ময়নাতদন্তের জন্য পারুলের লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।