পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭শ পরিবার

পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটিতে সতেরশ’ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রাথমিক হিসাব করেছে জেলা প্রশাসন।

মিন্টু চৌধুরী রাঙামাটি থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 June 2017, 02:47 PM
Updated : 19 June 2017, 02:52 PM

ভয়াবহ বিপর্যয়ের সাতদিনের মাথায় সোমবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান সাংবাদিকদের এই হিসাব দেন।

নিখোঁজ তিনজনকে ধরে গত সপ্তাহের পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৮ জন হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তের পূর্ণ তালিকা আমরা এখনও পাইনি। তবে বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের পাঠানো হিসাব অনুযায়ী পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে ১৬ থেকে ১৭শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

রাঙামাটি সদরের ৬ নম্বর ভেদভেদি ওয়ার্ডেই ১১৩০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতি নির্ণয়ের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। তারা আগামী দুই-দিনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ক্ষতি নিরূপণ করবে।

পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা

পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের শিক্ষার্থী সন্তানদের জেলা প্রশানে থেকে সহায়তার আশ্বাসও দেন মানজারুল।

তিনি বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা করছি। এছাড়া দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কেউ যদি কলেজ ভর্তির জন্য থাকে তাদের তাদেরও অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।” 

এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কেউ যাতে বসতি স্থাপন করতে না পারে সে বিষয়ে প্রশাসন সজাগ থাকবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

“জেনেশুনে আমরা কাউকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারি না,” বলেন তিনি।

আশ্রয় কেন্দ্রে ৬৪৩ পরিবার

গত সপ্তাহে পাহাড় ধসের পর অনেকে জেলা প্রশাসনের খোলা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে উঠেছিলেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অনেকে ফিরেও যান।

আশ্রয় কেন্দ্রে ওঠা মানুষ

সোমবার সকাল থেকে রাঙামাটি শহরে বৃষ্টিপাত শুরু হলে দুর্যোগপ্রবণ এলাকার আবারও ধসের আশঙ্কায় আশ্রয় কেন্দ্রে ভিড় বাড়তে থাকে।

বিকাল পর্যন্ত রাঙামাটি জেলা প্রশাসন পরিচালিত ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৪৩টি পরিবারের ২৮৪১ জন আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। 

তিনি বলেন, “দিনে-রাতে এ সংখ্যার তারতম্য হয়। যারা ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিতে আছে তারা দিনে তাদের ঘরে গেলেও রাতের বেলা থাকার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসে।”