রোববার সকালে খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি ও রামগড়ে এবং মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ধসের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
লক্ষ্মীছড়ি থানার ওসি আরিফ জানান, জতিন্দ্র কারবারী পাড়ায় সকাল ৭টার দিকে পাহাড় ধসে লিটন চাকমার (৭) মৃত্যু হয়।
এর আগে ভোরের দিকে রামগড়ের নাকাপা বুদুমছড়া এলাকায় পাহাড় ধসে দুই সহোদরের মৃত্যু হয় বলে জেলার পলিশ সুপার আলী আহমদ খান জানান।
স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
রামগড় থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, “পাহাড় ধসে ঘর চাপা পড়ে ওই দুই ভাইরের মৃত্যু হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি।”
শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে রামগড়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে বেশি।
এদিকে বড়লেখায় পাহাড় ধসে মা-মেয়ের মৃত্যু হয় বলে বড়লেখা থানার ওসি শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ডিমাই এলাকায় আছিয়া বেগম (৪০) ও তার মেয়ে ফাহমিদা (১৩)।
ওসি শহীদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রবল বর্ষণে শনিবার রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ডিমাই এলাকার বেশ কয়েকটি পাহাড়ে ধস নামে।
“আছিয়া বেগমের ঘরের ওপর মাটি ধসে পড়লে তিনি ও তার মেয়ে চাপা পড়েন।”
খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল ৯টার দিকে মাটি সরিয়ে লাশ উদ্ধার করে বলে জানান শহীদুল।
এদিকে শনিবার রাত ১২টা থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে বড়লেখা পৌরসভার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন বলে বড়লেখা পৌরসভার মেয়র কামরান হোসেন জানান।
এর আগে নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টির ফলে গত ১২ জুন রাত থেকে ১৪ জুন সকাল পর্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় ঢল ও ভূমিধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের নতুন ঘটনার পর নিহতের সংখ্যা ১৬২ জনে উন্নীত হল।