চিকুনগুনিয়া: জনসচেতনতা বাড়াতে ঢাকার ৯২ স্থানে প্রচারণা

চিকুনগুনিয়া রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে ঢাকার ৯২টি পয়েন্টে সাদা অ্যাপ্রন পরে প্রচারণা চালিয়েছে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2017, 11:31 AM
Updated : 17 June 2017, 11:31 AM

রাজধানীতে চিকুনগুনিয়া জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় শনিবার সকালে ধানমন্ডিতে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের চালানো সচেতনতামূলক এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

এ সময় তিনি বলেন, “যে যার অবস্থান থেকে নিজের বাড়িঘর ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখলে এবং কোথাও পানি জমতে না দিলে এই চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। শুধু চিকুনগুনিয়া নয়, সব রোগপ্রতিরোধেই সবাইকে সচেতন হতে হবে।”

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “এডিস মশা থেকেই যেহেতু চিকনগুনিয়া রোগের ভাইরাস ছড়ায়, তাই এই মশার উৎপত্তিস্থল নিধন কার্যক্রম আমরা প্রতীকীভাবে শুরু করেছি। আমাদের এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে সচেতন করা।

“সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এডিস মশা নিধন কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে। প্রথমে একজন নাগরিককে নিজবাড়ি ও আশপাশের এলাকায় লক্ষ্য রাখতে হবে কোথাও যাতে কোনো পানি জমে না থাকে। জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই আমরা এমন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।”

সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলে বেলা ২টা পর্যন্ত।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেখ সালাহউদ্দিন, কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ উপস্থিত ছিলেন।

চিকনগুনিয়া প্রতিরোধ সচেতনামূলক এ অভিযানে ঢাকা শহরের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এবং মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলসহ সব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

চিকনগুনিয়া জ্বরের বাহক এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করতে এবং এ রোগ নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে মাঠে পর্যায়ে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক  (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম ৯২টি স্পটে এই সচেতনতনতামূলক কার্যক্রমটি চালাব। কিন্তু সেটি এখন আরও অনেক বেশি হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতেই আজকের এই কার্যক্রম।

“কেবল ঘরের বাইরে নয়, ঘরের ভেতরে অর্ধস্বচ্ছ পানি, ফুলের টব, ফেলে রাখা কৌটা বা বোতল, পানির ট্যাংক, ছাদে জমে থাকা পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, আবর্জনার স্তুপ বা ডাবের খোসার ভেতরেও জন্ম নেয় এডিস মশা। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ঘরের ভেতরে ঢুকতে পারে না। তাই ঘরে ঘরে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে সাদা অ্যাপ্রন পরে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা কাজ করেছে।”