মেডিকেলে ভর্তি: নম্বর কাটবে দ্বিতীয়বারের পরীক্ষার্থীদের

নতুন শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় আগের বছর এইচএসসি উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2017, 02:05 PM
Updated : 4 June 2017, 02:30 PM

নম্বর কাটা হবে আগের বছর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া প্রার্থীদেরও, তাদের কাটা পড়বে ৭ দশমিক ৫ নম্বর।

বর্তমানে মেডিকেল-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা হয় এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের, এছাড়া এইচএসসি ও এসএসসির জিপিএ’র জন্য নির্ধারিত ২০০ নম্বর (১২৫ ও ৭৫) থেকে প্রাপ্ত নম্বর মিলিয়ে মেধাতালিকা তৈরি হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) প্রস্তাবে এই সিদ্ধান্ত হয়।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, তারা আগেই এই পরিকল্পনা করেছিলেন। এতদিন বাস্তবায়ন হয়নি।

“যারা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেয় তারা সারা বছর কোচিং করে, অথচ যারা নতুন তারা মাত্র দুই মাস সময় পায়। কিন্তু আমাদের নতুনদেরই ইনসেনটিভ দেওয়া উচিত। সারা বিশ্বে তা-ই করা হয়।”

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এরইমধ্যে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বন্ধের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

আগের বছর সরকারি মেডিকেলে ভর্তি হওয়া প্রার্থীদের নম্বর কাটা নিয়ে অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বলেন, “দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করে অনেকে অন্য মেডিকেলে গিয়ে সিট নষ্ট করে। এটা নিরুৎসাহিত করতে আমরা তাদের সাড়ে ৭ নম্বর কাটার কথা বলেছি।”

বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের কোটা আগের মতো ৫০ শতাংশ বহাল থাকছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বিডিএস-এর কোর্স পাঁচ বছর মেয়াদি হবে বলেও এতে জানানো হয়েছে।

সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ও ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে বিএমডিসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।

সচিবালয়ে মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, বিএমডিসি সভাপতি অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ, বিএমএ মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক দুলাল উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানিকগঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজকে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ, মানিকগঞ্জ হিসাবে নতুন নামকরণের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন বলে সভায় জানানো হয়েছে।