স্বাস্থ্যসেবায় কম বরাদ্দ, হতাশ বিশেষজ্ঞরা

স্বাস্থ্যসেবায় নতুন অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন এ খাতের বিশেজ্ঞরা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 June 2017, 03:52 PM
Updated : 1 June 2017, 05:13 PM

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজে প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যেখানে স্বাস্থ্য সেবায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৬ হাজার ১৮২ কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের মাত্র ৪ দশমিক ০৪ শতাংশ।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১৪ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। যা ছিল মোট বাজেটের ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, সংশোধিত বাজেটে যা ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশে দাঁড়ায়।

এছাড়া ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট বাজেটের ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরে মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয় স্বাস্থ্যসেবার জন্য।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী স্বাস্থ্য, পুষ্টি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি এবং নতুন নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরির পরিকল্পনার কথা বললেও চিকিৎসার পেছনে মানুষের উচ্চ ব্যয় কমানোর উপায় নিয়ে কিছু বলেননি। 

স্বাস্থ্য অধিকারকর্মী অধ্যাপক রশিদ-ই মাহবুব ঘোষিত বাজেট প্রস্তাবকে তার দেখা ‘সবচেয়ে খারাপ’ বাজেট বলে অভিহিত করেছেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক এই সভাপতি বলেন, “চিকিৎসার উচ্চ ব্যয়ের কারণে মানুষ দারিদ্র্যের শিকার হচ্ছে। (বাজেট) এই অবস্থা থেকে উত্তরণের কোনো দিক নির্দেশনা নেই। এতে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

“এই বাজেটের মধ্যে দিয়ে এটাই স্পষ্ট হল, সরকারের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে নেই স্বাস্থ্য খাত। সম্ভবত সরকার স্বাস্থ্যে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করছে।”

স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দকে ‘হতাশাজনক’ বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ খায়রুল ইসলাম।

তিনি বলেন, তারা স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির ১ শতাংশ বরাদ্দ আশা করেছিলেন, কিন্তু তা হয়নি।

“প্রস্তাবিত বাজেটে দেখা গেছে সরকারের নজর এখনো প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায়, কোনো সন্দেহ নেই এ ক্ষেত্রে আমরা ভালো করব…কিন্তু সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক এসডিজির লক্ষ্য পূরণে সরকার নজর দিচ্ছে না…অন্তত বাজেটে এসবের প্রতিফলন নেই।”

চিকিৎসার উচ্চ ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি।