বিমানবন্দর সড়কে বনসাই আর লাগানো হচ্ছে না

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের সৌন্দর্য বর্ধনে যে ৫০০টি বনসাই গাছ লাগানোর কথা ছিল, সমালোচনার মুখে তা থেকে সরে আসা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2017, 11:44 AM
Updated : 30 May 2017, 04:11 PM

যে ৯০টি বনসাই গাছ লাগানো হয়ে গেছে, সেগুলো থাকবে; নতুন করে আর লাগানো হবে না বলে জানিয়েছেন এই কাজের দায়িত্ব পাওয়া ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপের প্রধান নির্বাহী আবেদ মনসুর।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বনানী ওভারপাস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কে সৌন্দর্যবর্ধন চলছে; এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ।

প্রকল্পের আওতায় সড়কের দুপাশে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ গাছ লাগানোর কথা। এর মধ্যে বৃক্ষ ১ লাখ, বাকিগুলো গুল্মজাতীয় গাছ।

ভিনাইল গ্রুপ চীন থেকে বনসাই এনে লাগানোর পর তা নিয়ে সমালোচনা ওঠে। তার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, আর কোনো বনসাই লাগানো হবে না।

আবেদ মনসুর মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বনসাইয়ের বদলে জায়গাগুলোতে দেশীয় গাছ লাগানো হবে।

“৫০০টি বনসাইয়ের মধ্যে ৯০টি লাগানো হয়েছিল। আর কোনো গাছ লাগানো হবে না। আমরা সেখানে দেশীয় গাছ লাগাব।”

সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য রাস্তার দুই পাশে লাগানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির বনসাই গাছ। ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

বনসাই নিয়ে সমালোচনা ‘না বুঝেই’ হচ্ছে দাবি করে আবেদ বলেন, “১ লাখ গাছের মধ্যে মাত্র ৫০০ ছিল বনসাই।

লোকজন বুঝতে পারেনি। আমরা কাজ শুরুর করার পরই সমালোচনা শুরু করে দেয়।”

প্রকল্পের আওতায় যে এক লাখ গাছ লাগানো হচ্ছে, তার মধ্যে কৃষ্ণচূড়া, জারুল, ছাতিম, রাধাচূড়া, শিমুল, কদম, বকুল, পবনঝাউ, কাঠবাদাম, তমাল, হিজল, সুপারি ও সোনালু থাকছে বলে জানান তিনি।

আবেদ বলেন, এমইএস বাসস্ট্যান্ড এবং কুড়িল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত অংশে ইতোমধ্যে পবনঝাউ, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, সোনালুসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪০০ গাছ লাগানো হয়ে গেছে।