গ্যাসের দাম দ্বিতীয় দফা বৃদ্ধি কার্যকরে ‘বাধা নেই’

দ্বিতীয় ধাপে গৃহস্থালি ও গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিত করে হাই কোর্ট যে আদেশ দিয়েছিল চেম্বার আদালতে তা আটকে গেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2017, 09:49 AM
Updated : 30 May 2017, 12:37 PM

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতির আবেদন) প্রাথমিক শুনানি করে মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাই কোর্টের আদেশ সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করে নিয়মিত শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন।

বিইআরসির পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম; রিটকারী সংস্থা কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী ও মোহাম্মদ সাইফুল আলম।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, চেম্বার আদালতের এই আদেশের ফলে ১ জুন থেকে দ্বিতীয় দফায় গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকরে বাধা নেই। 

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গৃহস্থালিতে ও গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়িয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দেয়।

সেখানে বলা হয়, আবাসিক গ্রাহকদের আগামী ১ মার্চ থেকে এক চুলার জন্য মাসে ৭৫০ টাকা এবং দুই চুলার জন্য ৮০০ টাকা দিতে হবে। আর দ্বিতীয় ধাপে ১ জুন থেকে এক চুলার জন্য মাসিক বিল ৯০০ টাকা এবং দুই চুলার জন্য ৯৫০ টাকা হবে।

পাশাপাশি যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের (সিএনজি) দাম ১ মার্চ থেকে প্রতি ঘনমিটারে ৩৮ টাকা এবং ১ জুন থেকে ৪০ টাকা হবে।

পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতেও গ্যাসের দাম দুই ধাপে ৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয় ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে।

জ্বালানি মূল্যের পরিবর্তনসহ অন্য কোনো পরিবর্তন না ঘটলে কমিশন নির্ধারিত ট্যারিফ কোনো অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যাবে না বলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইনের ৩৪ ধারা বলা হয়েছে

এই গণবিজ্ঞপ্তিতে ওই আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে অভিযোগ করে এর ক্যাবের আবেদনে সাড়া দিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিত করেছিল হাই কোর্ট।

সেই সঙ্গে ‘আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে’ দেওয়া ওই গণবিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।

এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে হবে।

ভোক্তা অধিকারকর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ব্যবসায়ী সংগঠন গ্যাসের দাম বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে। ঢাকায় হরতাল করেছে বাম দলগুলো।