ঘূর্ণিঝড় মোরা: ভিয়েনা থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগে প্রধানমন্ত্রী

ভিয়েনায় অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় মোরার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে দেশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।

সুমন মাহবুব ভিয়েনা থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2017, 04:35 PM
Updated : 29 May 2017, 06:32 PM

১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত নিয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়টি মোকাবেলায় তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশও দিচ্ছেন বলেও তার প্রেসসচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ৬০ বছর পূর্তির সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার সকালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় রওনা হন শেখ হাসিনা।

তার রওনা হওয়ার পর এই ঝড়ের জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সন্ধ্যা ৬টায় সঙ্কেত ১০ নম্বরে উন্নীত হয়। এটি মঙ্গলবার সকালে উপকূলে আঘাত হানার কথা।

বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ভিয়েনায় পৌঁছে তার সফরকালীন আবাসস্থল ইম্পেরিয়াল হোটেলে যাওয়ার পরপরই ঝড়ের সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিয়ে দেশে কথা বলেন।

প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী সাংবাদিকদের বলেন, “ঝড়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। ঝড় মোকাবেলায় প্রশাসনকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।”

সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।

পরে ভিয়েনার গ্রান্ড হোটেলে অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব প্রস্ততি গ্রহণের কথা জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “১০ নম্বর সিগন্যাল দিয়েছে, আমরা অনবরত খবর রাখছি। সব মানুষকে শেল্টারে নেওয়া হয়েছে। নৌবাহিনীর সকল জাহাজ এবং বিমানবাহিনীর সকল উড়োজাহাজ সরানো হয়েছে।”

ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠছে সাগর; সোমবার বিকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতে এমন করে আছড়ে পড়ছিল ঢেউ

দুদিনের সফর শেষে বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে; ঘূর্ণিঝড়টি তার ২৪ ঘণ্টা আগেই আঘাত হানতে যাচ্ছে।

এদিকে সোমবার ঢাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।

সভা থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে দ্রুত সভা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। সব আশ্রয়কেন্দ্রগুলো তৈরি করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব গোলাম মোস্তফা জানান, ঝড় পরবর্তী সময়ে ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রত্যেক জেলায় প্রয়োজনীয় চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।