এর আগে ২০১৫ সালের নমুনা জরিপ অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৮৯ লাখ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ নমুনা জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
সোমবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে এ জরিপের তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন এর প্রকল্প পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক।
তিনি বলেন, “সারা দেশে নিদির্ষ্ট কিছু এলাকায় নির্দিষ্ট কিছু জরিপ কর্মী দিয়ে এ জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতি বছরই এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। সারা দেশের ২ হাজার ১২টি এলাকায় এ নমুন জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে এক হাজার ৭৭টি পল্লী এলাকার আর ৯৩৫টি শহর এলাকা থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়।”
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারী পর্যন্ত হিসাবে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ পুরুষ আর ৮ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার নারী।
তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৮ লাখ। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৫ লাখ আর নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩ লাখ।
এক বছর আগে বা ২০১৫ সালে মোট জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৮৯ লাখ। ওই বছর পুরুষের সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৯৬ লাখ আর নারীর সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৯৩ লাখ।
নমুনা জরিপ সাধারণ দুটি আদমশুমারির মধ্যবর্তী সময়ে করা হয়েছে। আদমশুমারিতে প্রতিটি বাড়ি ও ঘর থেকে জনসংখ্যার তথ্য সংগ্রহ করা হলেও নমুনা জরিপে তা করা হয় না।
নমুনা জরিপে দুটি পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট এলাকার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। দুই পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা এসব তথ্য মিলিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের পর জরিপের ফল নির্ধারণ করা হয়।
আদমশুমারিতে জনসংখ্যার প্রকৃত তথ্য বের হয়ে আসলেও নমুনা জরিপে তা নয়।
বাংলাদেশে সবর্শেষ আদমশুমারি হয়েছিল ২০১১ সালে। পঞ্চম ওই আদমশুমারি প্রতিবেদনে জনসংখ্যা ছিলো ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার।
ওই আদমশুমারির তথ্যের সঙ্গে সর্বশেষ নুমনা জরিপের তথ্যের তুলনা করলে গত ছয় বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় দুই কোটি।