সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
এর আগে দুপরে শুধু উপকূলীয় এলাকায় ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশাল অঞ্চলে দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন বাংলাদেশ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মিশা জানান, লঞ্চ ও স্টিমারসহ সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় ফেরি চলাচলও বন্ধ রয়েছে। তবে ঢাকাসহ দেশের অন্য অঞ্চলে ফেরি চলবে।”
খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলসমূহের নদীবন্দরগুলোকে দুই (০২) নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এসব অঞ্চলের উপর দিয়ে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে।
সোমবার মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোরা মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
বাংলাদেশ উপকূলের দিকে চলে আসায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর জন্য একই বিপদ সংকত রয়েছে।
এছাড়া পায়রা ও মংলা বন্দর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ৮ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।