আলমগীর উত্তরা পূর্ব থানায় সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত ছিলেন।
রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাজ্জাদুর রহমানের আদালতে আলমগীরের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলমগীরকে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান আজাদ রহমান।
মামলার অন্য আসামি মাসুম বিল্লাহ গত ৬ এপ্রিল আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
মাসুম বিল্লাহ জবানবন্দিতে বলেন, ছিনতাইয়ের সময় এএসআই আলমগীর হোসেন তার সঙ্গে ছিলেন।গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তারা ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াসকে গাড়িতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
ইলিয়াসের কাছ থেকে লুট করা মোট ১৫ লাখ চার হাজার টাকার সমপরিমাণ মার্কিন ডলারের মধ্যে চার লাখ টাকার সমপরিমাণ ডলার আলমগীর নেন বলে মাসুম জবানবন্দিতে জানান।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, মো. ইলিয়াস (৩০) উত্তরার লতিফ ইম্পেরিয়াল মার্কেটের এইচএস মানি এক্সচেঞ্জের মালিক। গত ৪ এপ্রিল বিকালে উত্তরা পূর্ব থানার রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
এসময় সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কার তার সামনে এসে থামে। গাড়িটি থেকে কয়েকজন লোক নেমে নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে ইলিয়াসকে তাদের গাড়িতে তোলে।তারা ইলিয়াসের কাছ থেকে তার প্রতিষ্ঠানের ১৮ হাজার ৮০০ ডলার ছিনিয়ে নেন।
তখন ইলিয়াস চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হয়ে মাসুম বিল্লাহকে ধরতে পারলেও অন্য চারজন পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ মাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, এ ঘটনায় এএসআই আলমগীর ছাড়াও হাবিব ডলার, রাশেদ ও সুমন নামে তিনজন জড়িত।এরপর আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আলমগীর যশোরের ঝিকরগাছা থানার কৃত্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। মাসুম বিল্লাহর বাড়ি ঢাকার দোহার থানার উত্তর শিমুলিয়া গ্রামে।