উত্তীর্ণদের মেধাতালিকা প্রকাশে এনটিআরসিএকে নির্দেশ

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় এ পর্যন্ত উত্তীর্ণ সবার মেধাতালিকা তৈরির পর তা প্রকাশ করতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2017, 02:15 PM
Updated : 28 May 2017, 02:15 PM

আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে এ তালিকা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া নিবন্ধন সনদের মেয়াদ তিন বছর নির্ধারণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং নিবন্ধন সনদধারীদের কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।

শিক্ষা সচিব এবং এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রোববার একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা।

পরে রেমা সাংবাদিকদের জানান, দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের সব শূন্য পদের তালিকা চেয়েছে আদালত। আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সেটি দাখিল করতে হবে এনটিআরসিএকে।

এর আগে গত ২৫ মে এনটিআরসিএ থেকে নিবন্ধন পাওয়া সিরাজগঞ্জের লিখন কুমার সরকারসহ বিভিন্ন জেলার মোট ১৪৯ জন সনদের মেয়াদ তিন বছর নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করেন।

আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০০৬ সালের বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালায় নিবন্ধনের মেয়াদের কোনো সময়সীমা ছিল না। পরে ২০১৫ সালে সংশোধিত বিধিমালায় নিবন্ধন সনদের মেয়াদ তিন বছর নির্ধারণ করা হয়।

“তার মানে হলো, সনদপ্রাপ্ত হওয়ার পর যদি কেউ তিন বছরের মধ্যে নিয়োগ না পান তবে সে সনদ বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু একজন পরীক্ষা দিয়ে সনদপ্রাপ্ত হয় তো সারা জীবনের জন্য। ফলে এ বিধানটি অযৌক্তিক।

“তাছাড়া কোন মূল্যায়নের ভিত্তিতে নিবন্ধিতদের মধ্য থেকে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়, সে বিষয়টিও আমাদের জানা নেই। তাই এখন পর্যন্ত যত পরীক্ষা হয়েছে এবং এসব পরীক্ষায় যতজন উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের একটি মেধাতালিকা প্রস্তুত ও প্রকাশ করতে বলেছেন আদালত।”

বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক হতে চাইলে অবশ্যই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সনদ থাকতে হয়। ২০০৫ সাল থেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এই পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে।

স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্যদের ক্ষমতা খর্ব করে চলতি বছর থেকে সরকার এনটিআরসিএর মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম চালু করেছে।