তিনি বলেছেন, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার যে প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন, তা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে।
রোববার পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে পিকেএসএফ ভবনের অডিটোরিয়ামে ‘তামাক: জনস্বাস্থ্য ও উন্নয়নের হুমকি’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী পিকেএসএফের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, তামাকের ব্যবহার রোধকল্পে একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। পিকেএসএফ এই উদ্যোগ গ্রহণ করায় তিনি প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ তামাক নিয়ন্ত্রণে যেসব সংগঠন কাজ করছে তাদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ প্ল্যাটফর্ম গঠনের ঘোষণা দেন। উপস্থিত সবাই তাতে সম্মতি দেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য তামাকের ব্যবহার কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এ জন্য প্রয়োজন তামাকবিরোধী আন্দোলনে জড়িত সকল সংগঠন, প্রতিষ্ঠানের একযোগে কাজ করা।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম বলেন, জনসংখ্যার আধিক্য, নিম্নআয়, দারিদ্র্য, অসচেতনতা এবং নানা কারণে বিশ্বের সর্বোচ্চ তামাকজাত পণ্য ব্যবহারকারী দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতি বছর প্রায় এক লাখ মানুষের মৃত্যু হয় এবং ৩ লাখ ৮২ হাজার লোক পঙ্গুত্ব বরণ করে বলে জানান তিনি।
পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ) গোলাম তৌহিদ তার উপস্থাপনায় কৃষি, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির উপর তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরেন।
পিকেএসএফের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ তামাকবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও পিকেএসএফের ৪২টি সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা সেমিনারে অংশ নেন।
এছাড়া তামাকবিরোধী ১৯টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
সেমিনারে পিকেএসএফের তৈরি তামাকবিরোধী সচেতনতামূলক পোস্টার স্মারক হিসেবে সেমিনারের প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথির হাতে তুলে দেওয়া হয়।