এর ফলে পাঠদানসহ উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের কার্যক্রমে অংশ নিতে রিয়াজুলের সামনে কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এএফএম মেজবাহ উদ্দিন; অধ্যাপক রিয়াজুল হকের পক্ষে ছিলেন কামরুল হক সিদ্দিকী ও আব্দুল মতিন খসরু ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
জ্যোতির্ময় পরে সাংবাদিকদের বলেন, “হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের আবেদনের পর চেম্বার বিচারপতির আদালত হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে।
ক্লাসে অশ্লীল চিত্র প্রদর্শনের অভিযোগে ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভায় রিয়াজুল হককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত ৭ মার্চ তাকে জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধকের পাঠানো চিঠিতে রিয়াজুলকে বরখাস্তের কথা জানানো হলেও সেখানে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি বলে তার আইনজীবী জানান।
কোনো অভিযোগ ছাড়া বরখাস্ত করায় অধ্যাপক রিয়াজুল কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিস পাঠান। নোটিসের জবাব না পেয়ে বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন তিনি।
আবেদনটির শুনানি নিয়ে গত ৯ এপ্রিল বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে রুল দেয়।
রুলে কোনো কারণ উল্লেখ ছাড়াই তাকে বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।
চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য (শিক্ষা), রেজিস্ট্রার, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদনে সাড়া দিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত আবেদন হাই কোর্টের আদেশ ওপর স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেল।
সেই স্থগিতাদেশ তুলে দিয়ে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের আদেশই বহাল রাখলো।