অনিয়ম ঠেকাতে ‘তৃতীয় চোখ’ চায় ইসি

নির্বাচনে অনিয়ম রোধে তাৎক্ষণিক তথ্য পেতে মাঠ থেকে ‘তৃতীয় চ্যানেলে’ সহায়তা নেওয়ার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2017, 03:53 AM
Updated : 27 May 2017, 03:53 AM

পাশাপাশি প্রার্থী বা দলের সঙ্গে স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের বাইরেও কোনো রাজনৈতিক দল বা অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে যুক্তদের পর্যবেক্ষক করায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।

ইসির পর্যবেক্ষক নীতিমালা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কমিশনের অনুমোদিত পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সময় ভোটকেন্দ্রে বা নির্বাচনী এলাকায় কোনো ধরনের অনিয়ম দেখতে পেলে তাৎক্ষণিকভাবে ইসিকে জানাতে পারবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্বাচনী তথ্য পেতে তৃতীয় চ্যানেল হিসাবে পর্যবেক্ষকদের ব্যবহার করা যেতে পারে। মাঠ পর্যায় থেকে তাৎক্ষণিক অনিয়ম সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে এটা সহায়ক হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে ইসি।”

এই সংশোধন প্রস্তাবের বিষয়ে সবার মতামত নিতে গত সপ্তাহে তা ইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছিল। এ নিয়ে সুপারিশ দেওয়ার সময় ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার আছে ১২০টি। একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অংশীজনের মতামত নিয়েই প্রস্তাবিত নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে বলে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান জানিয়েছেন।

বিদ্যমান নীতিমালায় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে দল বা প্রার্থীর ব্যক্তিগত স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা থাকলে তা অযোগ্যতা বিবেচনা করা হয়।

প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করতে নতুন উপধারা যোগ করার কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক দল বা এর অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত কেউ পর্যবেক্ষক হতে পারবেন না।

ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ভোটের দিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনী কর্মকর্তা ও ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে সরাসরি তথ্য পায় কমিশন। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় সেল এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে দিনভর পরিস্থিতির প্রতিবেদন সংগ্রহ করে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।

প্রার্থী, দল, গণমাধ্যমসহ মাঠে থাকা বিভিন্ন ‘চ্যানেলে’ পাওয়া অনিয়মের অভিযোগগুলো কমিশন নিয়মিত পর্যবেক্ষণও করে।

বিদেশি সংস্থায় কর্মরত দেশি কর্মকর্তাদের ‘স্থানীয় পর্যবেক্ষক’ হিসেবেই অনুমোদন দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে সংশোধনীতে।

আসাদুজ্জামান বলেন, বিদেশি সংস্থার স্থানীয় কর্মীদের নিয়ে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় জটিলতা সৃষ্টি হত। সে জন্য বিষয়টি স্পষ্ট করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

“নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থা বা কূটনৈতিক মিশনের নিবন্ধিত হওয়ার বিধান নেই। প্রস্তাবিত বিধানটি অনুমোদন পেলে মিশনের বিদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং স্থানীয় কর্মকর্তারা স্থানীয় পর্যবেক্ষক হিসাবে গণ্য হবেন। সেক্ষেত্রে বিদেশিদের বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা এবং স্থানীয়দের স্থানীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা অনুযায়ী আবেদন করতে হবে।”