পোশাক শ্রমিকদের আবাসন-রেশনিংয়ে বাজেটে বরাদ্দ দাবি

পোশাক শ্রমিকদের জন্য বাজেটে আবাসন, রেশনিং ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে বরাদ্দ রাখার পাশাপাশি আগামী ২০ রোজার মধ্যে তাদের মূল মজুরির সমান ঈদ বোনাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছে একটি শ্রমিক সংগঠন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2017, 02:20 PM
Updated : 26 May 2017, 02:20 PM

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের’ আয়োজনে সমাবেশে এসব দাবি জানান বক্তারা।

এ সময় ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, “রোজা শুরু হওয়ার এক মাস আগে থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। শ্রমিকদের জিনিসপত্র কেনার মতো সামর্থ নেই। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের কষ্টের মধ্যে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে।”

গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ২০ রোজার মধ্যে দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রতি ঈদেই শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে মালিকরা টালবাহানা করে থাকে, মালিকরা শ্রমিকদের খাটায়, কিন্তু বোনাস ও বকেয়া বেতন দিতে চায় না। যে কারণে অভিজ্ঞতা থেকে আমরা আগেভাগেই এই দাবি পূরণের কথা বলছি।”

রানা প্লাজা, তাজরিন ফ্যাশনসসহ বিভিন্ন কারাখানায় হাজার হাজার শ্রমিকদের হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন জলি তালুকদার।

কোনো বাজেট ঘোষণার আগে কখনো শ্রমিকদের মতামত নেওয়া হয় না অভিযোগ করে তিনি বলেন, “গার্মেন্টস শিল্প খাত হল দেশের উৎপাদনের অন্যতম খাত। আসন্ন বাজেটে শ্রমিকদের জন্য আবাসন, রেশনিং ও চিকিৎসার জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখতে হবে।

বিভিন্ন সময় সরকার গার্মেন্টসহ অন্যান্য শিল্পে মালিকদের প্রণোদনা দিয়ে থাকলেও সব সময় শ্রমিকরা অবহেলিত থাকে বলে মন্তব্য করেন শ্রমিক নেতা জলি।

সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি কাজী রুহুল আমিন বলেন, “যখনই শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করা হয় তখনই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দমন-পীড়ন শুরু হয়।”

বিগত বছরে সরকার বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার হরণ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সমাবেশে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আরেক কার্যকরী সভাপতি সাদিকুর রহমান, সংগঠনের নেতা মনজুর মঈন, ইকবাল হোসেন এবং এম এ শাহীন বক্তব্য রাখেন।