বাংলাদেশকে সহযোগিতা বন্ধ হবে না: জাইকা প্রেসিডেন্ট

বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান কখনও সহযোগিতা বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকার প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2017, 05:22 PM
Updated : 25 May 2017, 05:28 PM

গণভবনে বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে একথা বলেন তিনি।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে এবং জাইকা তাদের সহযোগিতা বন্ধ করবে না।”

গত বছর জুলাইয়ে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় যে ১৭ বিদেশি নিহত হন তাদের মধ্যে সাতজন ছিলেন জাপানের নাগরিক। নিহত ওই সাত জাপানি ঢাকায় জাইকার একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছিলেন।

ছবি: ইয়াসিন কবির জয়

ওই হামলার পর বাংলাদেশে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাতে জাইকার প্রেসিডেন্ট সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান ইহসানুল করিম।

“বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাতে তারা সন্তুষ্ট।”

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন জাইকার প্রেসিডেন্ট।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন শিনিচি কিতাওকা।

প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, “আপনি যেভাবে বাধা অতিক্রম করেছেন, তাতে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারাটা আমাদের জন্য আনন্দের।”

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সফলতার প্রশংসা করে জাইকার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিক্ষা খাতে সহায়তা করব।”

ছবি: ইয়াসিন কবির জয়

হলি আর্টিজানে নিহত জাপানি নাগরিকদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর বিরুদ্ধে সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছে তার সরকার।

এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী, তাদের কোনো সীমানা নেই।”

দেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সব প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

সাক্ষাতকালে মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানবে এবং জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা উপস্থিত ছিলেন।