রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় তাপদাহ চলছে গত কয়েক দিন ধরে, এতে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে খুলনায় ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, হাতিয়া ও কক্সবাজার অঞ্চলসহ ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
গত বছর গরমের মৌসুমে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটা ছিল মে মাসের প্রথম দিনে। এবার তা এখনও ছাড়ায়নি।
২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল ঢাকার তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা পাঁচ দশকে সর্বোচ্চ। তার আগে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল, ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতবারের এ সময়ের চেয়ে কম রয়েছে তাপমাত্রা। মে মাসের শেষে এসে বাতাসে বেশি আর্দ্রতার কারণে গরমের অনুভূতি তীব্র হচ্ছে।”
তাপপ্রবাহের সঙ্গে নিম্নচাপ তৈরির একটা পরিস্থিতির মধ্যেও গরম বাড়তে থাকে বলে জানান তিনি।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সামছুদ্দিন বলেন, “আমরা ধারণা করছি, আগামী শনিবারের পর থেকে বা কয়েকদিন পরে বৃষ্টিপাত হবে।”
শুক্রবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্য স্থানগুলোতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে।
অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টিসহ বজ্রঝড় বয়ে যেতে পারে। এতে বিদ্যমান তাপদাহে স্বস্তি আসবে।