জেএমবির সাবেক প্রধান সাইদুরের রায়ের অপেক্ষা

জেএমবির সাবেক প্রধান মাওলানা সাইদুর রহমান ওরফে জাফরসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলার রায় জানা যাবে বৃহস্পতিবার।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2017, 05:24 AM
Updated : 25 May 2017, 05:44 AM

ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ বিচারক ইমরুল কায়েসের আদালতে বেলা ৩টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনজুর মাওলা চৌধুরী জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “স্পর্শকাতর ও জনগুরুত্বপূর্ণ মামলা বিবেচনায় দেশ ও জনগণের স্বার্থে দ্রুত এ মামলার বিচার এগিয়ে নেওয়া হয়েছে।”

পাঁচ বছর আগের এ মামলায় নতুন করে সাক্ষ্য শুরু হওয়ার পর দুই মাসের মধ্যে এ রায় হতে যাচ্ছে। মামলার অপর দুই আসামি আবদুল্লাহ হেল কাফী এবং তার স্ত্রী আয়শা আক্তার হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

২০১০ সালের ২৫ মে ঢাকার দনিয়া নূর মসজিদের কাছে একটি বাড়ি থেকে সাইদুরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তাদের কাছে উগ্র মতবাদের বই ও সরকারবিরোধী প্রকাশনার কাগজপত্র পাওয়া যায় বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়।

পরে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার অভিযোগে ঢাকার কদমতলী থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। অভিযোগপত্র হওয়ার পর ২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারি ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারও শুরু হয়; রাষ্ট্রপক্ষে পাঁচজনের সাক্ষ্য শোনে আদালত।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিচারের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এ মামলায় তা না হওয়ায় বিচার মাঝপথে আটকে যায়। অনুমোদনের জন্য ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর নথিপত্র পাঠানো হয় মন্ত্রণালয়ে।

গতবছর ২৬ অগাস্ট অনুমোদন পাওয়া গেলে নতুন করে গতি পায় এ মামলার কার্যক্রম। এর ধারাবাহিকতায় গত ৪ জানুয়ারি পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র নতুন করে আমলে নিয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা অভিযোগ গঠন করেন।

নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় এপ্রিলে; রাষ্ট্রপক্ষে ১৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হলে গত ৮ মে সাইদুর আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। গত ১৮ মে দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বিচারক রায়ের জন্য ২৫ মে দিন রাখেন।

২০০৭ সালে শায়খ আবদুর রহমানসহ জেএমবির শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির পর হবিগঞ্জের সাবেক জামায়াত নেতা মাওলানা সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে পুনর্গঠিত হয় নিষিদ্ধ এ জঙ্গি সংগঠন।

এ মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, মাওলানা সাইদুরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে শিবগঞ্জ থানা, কদমতলী থানায় আরও মামলা রয়েছে। এছাড়া অপর একটি মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ড রয়েছে তার।

আর আবদুল্লাহ হেল কাফী জামালপুর থানার একটি হত্যা মামলার আসামি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।