সব সোনার দোকানে অভিযান দরকার: রাজ্জাক

বাংলাদেশে সোনার অন্য দোকানগুলোও চোরাচালানে যুক্ত বলে সন্দেহ প্রকাশ করে আপন জুয়েলার্সের পাশাপাশি অন্যগুলোতেও শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযান চেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুর রাজ্জাক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2017, 05:17 PM
Updated : 24 May 2017, 06:35 PM

তিনি বলেছেন, “স্বর্ণ চোরাচালান শুধু আপন জুয়েলার্স করে? না কি অন্য সোনার দোকানগুলোও করে? আরও অনেক সোনার দোকান সোনা চোরাচালানির সঙ্গে জড়িত। তারা কীভাবে চোরাচালান করছে, এর সাথে বড় বড় কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করুন।”

বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে ‘ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাজ্জাক।

আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হওয়ার পর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর তাদের বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০০ কেজি সোনার গহনা আটক করে। তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মালিক দিলদার আহমেদকে।

আব্দুর রাজ্জাক

রাজ্জাক বলেন, “দুটি মেয়ে ধর্ষণের পর কেন আপন জুয়েলার্সে অবৈধ স্বর্ণের খোঁজে অভিযান করতে হবে? এটা রুটিন কাজ হওয়া উচিৎ।”

সোনা চোরাচালান রোধ কার্যক্রমে সব গোয়েন্দা সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করতে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগকে পরামর্শ দেন সাবেক এই মন্ত্রী। সেই সঙ্গে জনবল বাড়িয়ে এনবিআরের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগটিকে আরও শক্তিশালী করার সুপারিশও তিনি করেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, এনবিআর সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. রেজাউল হাসান এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

বনানীর রেইনট্রি হোটেলের মতো রাজধানীর অন্য আর যে সব হোটেলে মদের ব্যবসা হয়,সেসব জায়গায় অভিযান চালিয়ে এ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে আনতেও বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রাজ্জাক।

ওই ধর্ষণের ঘটনাস্থল হিসেবে আলোচনায় আসা রেইনট্রি হোটেলের মালিক রাজ্জাকের দলের সংসদ সদস্য বি এইচ হারুনের সন্তানরা।

হোটেলটিতে অভিযান চালিয়ে বেআইনিভাবে রাখা ১০ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধারের কথা জানায় শুল্ক গোয়েন্দারা। হোটেলর ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ মেলার কথাও জানায় তারা।