বুধবার ডিএনসিসিতে ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রোজায় নিত্যপণ্যের সরবরাহ, মূল্য স্বাভাবিক রাখা, খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রয়োগ বন্ধ এবং জনসাধারণের রোজা পালন নিয়ে আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়।
গুলশানে ডিএনসিসির সভাকক্ষে মতবিনিময়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম।
রোজার সময় রাজধানীর সব কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয় সভায়। এছাড়া ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে ডিএনসিসির সহযোগিতায় বাজার পরিচ্ছন্ন রাখতে সম্মত হন।
খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রয়োগ বন্ধ করতে এবং দ্রব্যমূল্য ও পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে বাজার মনিটরিং এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়।
এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে রাসায়নিকমুক্ত ফল বিক্রির বিষয়টিও ডিএনসিসি নজরদারি করবে।
জনসাধারণের নামাজ আদায়ের সুবিধায় রোজা শুরুর আগেই মসজিদগুলো পরিষ্কার করা এবং আশপাশে মশার ওষুধ ছিটানো হবে।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলাম বলেন, “রমজানে সাধারণ মানুষের যেন কষ্ট না হয় সেজন্য আমরা কোনো রাস্তা কাটার অনুমতি দেব না। একইভাবে মানুষের ভোগান্তি কমানোর জন্য সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।”
সভায় ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএমএম সালেহ ভূঁইয়া, সচিব দুলাল কৃষ্ণ সাহা, ডিএনসিসি মার্চেন্ট ফেডারেশনের সদস্য সচিব শেখ শামসুল আলম বুলবুল, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, বনানী কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজার সমিতির সভাপতি লুৎফুর রহমান বাবুল, কারওয়ান বাজার আড়ৎ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানসহ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।