পুলিশ কর্মকর্তা ভাতিজার বিরুদ্ধে আইনজীবী চাচার যত অভিযোগ

পুলিশের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জমি দখল, চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তার চাচা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2017, 11:24 AM
Updated : 24 May 2017, 11:24 AM

তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ভাতিজা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ নিয়ে বুধবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলনে আসেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাগুরার ফুলবাড়ীর বাসিন্দা মো. ফয়জুল কবীর।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২০তম বিসিএস দিয়ে পুলিশে যোগ দেওয়ার আগে ভাতিজার লেখাপড়ার বিষয় তিনিই দেখভাল করতেন। কিন্তু পুলিশ বাহিনীতে চাকরি হওয়ার পরে আরেফ তার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ শুরু করেন।

লিখিত বক্তব্যে ফয়জুল বলেন, তার ভাতিজা খুলনা মহানগর পুলিশ দক্ষিণের উপ-কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আরেফ ওরফে বিপ্লব এলাকার মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত শহীদুল ইসলাম মিন্টু ওরফে বদর, রীজু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তার বাড়ি দখল করে সীমানা প্রাচীর তুলেছেন।

“পারিবারিক জমি ভাগ করে নেওয়ার পরও জোর করে আমার জমিতে আরেফ সীমানা দিয়েছে,” বলেন তিনি।

তিনি বলেন, “পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছে না আরেফ। এখন আমাকে ও যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে, হয়রানি করছে।”

সংবাদ সম্মেলনে মতিয়ার নামে এক ব্যক্তি তার অভিযোগের সপক্ষে বক্তব্য দেন।

মতিয়ারের অভিযোগ, তার জামাতাকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুই লাখ টাকা ও ছয় শতাংশ জমি লিখে নিয়েছেন আরেফ।

টাকা নেওয়ার পরও জামাতার চাকরিও হয়নি, টাকা আর জমিও ফেরত পাননি বলে দাবি করেন মতিয়ার।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে টেলিফোনে কথা হয় পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আরেফের সঙ্গে।

পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদ সম্মেলন করা ঠিক হয়নি মন্তব্য করে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চাচাই আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা করেছেন। মামলার বিষয় তো আদালত দেখবে।”

চাচার বিপক্ষের লোকের নির্বাচন করেছে বলে মিণ্টু ও রীজুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, ভাষ্য তার।

চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।

“চাকরি দেওয়ার কথায় কেউ কী জমি লিখে দেয়? সম্পূর্ণ বানোয়াট বিষয়টি। মতিই আমার কাছে জমি বিক্রি করে টাকা নিয়েছেন।”

প্রতিহিংসাবশত তার চাচা এসব অভিযোগ করছেন বলে আরেফের দাবি।